ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবারও মনোনীত হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কারের জন্য এ নিয়ে চতুর্থবার তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম নতুন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কথা উল্লেখ করে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে এই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কথা উল্লেখ করে ক্লডিয়া টেনি নামে একজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা সাবেক প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করেন। ইসরাইলের সঙ্গে আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশের সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তি, তথা আব্রাহাম অ্যাকর্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় শান্তিতে নোবেল দেয়ার জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০২০ সালে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। পরে মরক্কো এবং সুদানও একইপথ অনুসরণ করে। ওই চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তির মাধ্যমে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাভাবিক হয়।

নিউইয়র্কের রিপাবলিকান সদস্য ক্লডিয়া টেনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দশকের দশক ধরে আমলা, পররাষ্ট্রনীতি পেশাদার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জোর দিয়ে বলে এসেছে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। কিন্তু সে সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটিকে ভুল প্রমাণ করেছেন।

টেনির মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব যখন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন অবশ্যই ট্রাম্পকে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি অর্জনে প্রচেষ্টার জন্য স্বীকৃতি দিতে হবে। এটি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি।

১৯৭৮ সালে মিশর-ইসরাইল শান্তিচুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের অসলো চুক্তি নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল। এর আগে, ২০২০ সালে আব্রাহাম অ্যাকর্ডে ভূমিকা রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ট্রাম্প।

নিউজটি শেয়ার করুন

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৫:২৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৪

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবারও মনোনীত হলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কারের জন্য এ নিয়ে চতুর্থবার তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম নতুন শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে ডোনাল্ড ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কথা উল্লেখ করে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে এই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক’ নীতির কথা উল্লেখ করে ক্লডিয়া টেনি নামে একজন রিপাবলিকান আইন প্রণেতা সাবেক প্রেসিডেন্টের নাম প্রস্তাব করেন। ইসরাইলের সঙ্গে আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশের সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তি, তথা আব্রাহাম অ্যাকর্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় শান্তিতে নোবেল দেয়ার জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০২০ সালে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। পরে মরক্কো এবং সুদানও একইপথ অনুসরণ করে। ওই চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস চুক্তির মাধ্যমে প্রধানত সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাভাবিক হয়।

নিউইয়র্কের রিপাবলিকান সদস্য ক্লডিয়া টেনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দশকের দশক ধরে আমলা, পররাষ্ট্রনীতি পেশাদার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জোর দিয়ে বলে এসেছে, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। কিন্তু সে সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটিকে ভুল প্রমাণ করেছেন।

টেনির মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব যখন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন অবশ্যই ট্রাম্পকে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি অর্জনে প্রচেষ্টার জন্য স্বীকৃতি দিতে হবে। এটি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি।

১৯৭৮ সালে মিশর-ইসরাইল শান্তিচুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের অসলো চুক্তি নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল। এর আগে, ২০২০ সালে আব্রাহাম অ্যাকর্ডে ভূমিকা রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ট্রাম্প।