ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এ মেয়াদে দেশকে অতি দারিদ্র্য মুক্ত করবো: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশকে অতি দারিদ্র্য মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে এ মেয়াদের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার একেবারে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন নিশ্চিত করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সারাদেশ উন্নত হবে এবং জনগণ তার সুফল পাবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশের বেশি ছিল।

দুস্থ নারী, বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা নারীসহ সমাজে অসহায় মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সহায়তাসহ দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সরাসরি অংশগ্রহণ করছে।

এসময় সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক এর কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগণ স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পূর্ণ তার সরকারের ব্রেইন চাইল্ড এবং এই প্রচেষ্টার ফলে দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান করেন।

বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

সাক্ষাতের শুরুতে, বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, পেরু এবং ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদ এবং পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।

আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

রাষ্ট্রদূতরা বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ মেয়াদে দেশকে অতি দারিদ্র্য মুক্ত করবো: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:১৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশকে অতি দারিদ্র্য মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে এ মেয়াদের মধ্যে দেশে অতি দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আওয়ামী লীগ সরকার একেবারে তৃণমূল থেকে উন্নয়ন নিশ্চিত করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সারাদেশ উন্নত হবে এবং জনগণ তার সুফল পাবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। আগে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪২ শতাংশের বেশি ছিল।

দুস্থ নারী, বিশেষ করে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা নারীসহ সমাজে অসহায় মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় সহায়তাসহ দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সরাসরি অংশগ্রহণ করছে।

এসময় সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক এর কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রান্তিক জনগণ স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পূর্ণ তার সরকারের ব্রেইন চাইল্ড এবং এই প্রচেষ্টার ফলে দেশে মা ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সারাদেশে ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান করেন।

বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য এখানে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ ও যোগাযোগ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

সাক্ষাতের শুরুতে, বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, স্লোভেনিয়া, পেরু এবং ভেনিজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদ এবং পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান।

আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

রাষ্ট্রদূতরা বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।