ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ‘এবি পার্টি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের মদদপুষ্ট লুটেরা সিন্ডিকেটকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে দল মত নির্বিশেষে সকল নাগরিককে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে দ্রব্যমূল্যের উপুর্যুপুরি বৃদ্ধি, সরকারের মদদপুষ্ট কালোবাজারী সিন্ডিকেটের কারসাজি এবং তাঁর ভাষায় জবাবদিহিতাবিহীন সরকারের অবাধ লুটপাটের নানা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর রমজান আসলে তেল, চিনি, পেয়াজের দাম বাড়ে। রমজানে শ্রমজীবী মানুষের আয় অপেক্ষাকৃত কম থাকে। সাধারণ মানুষের খাবারের চাহিদাও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু রহস্যজনকভাবে প্রতিবছর একটা চক্র কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরী করে দাম বাড়িয়ে ফেলে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জনদুর্ভোগের জন্য তিনি জবাবদিহিতা বিহীন সরকারের লুটপাটই প্রধানতঃ দায়ী বলে মনে করেন। তাজুল দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দ্রুত মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন; দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জনজীবন অসহনীয় করে তোলার পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে
১ . জবাবদিহিতাহীন সরকার জনদুর্ভোগকে পরোয়া না করা
২ . অসাধু ও অনৈতিক সিন্ডিকেট
৩. কৃষি ও দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া
৪. আমদানী নির্ভর অর্থনীতি
৫. ভোক্তা অধিকার রক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও দক্ষতা না থাকা
৬. মুদ্রাস্ফীতি

তিনি আরও বলেন, এবি পার্টি মনে করে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে যে বাংলা ছিলো সম্পদ ও সুখে সমৃদ্ধ যে বাংলাদেশে গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু পুকুর ভরা মাছ এবং আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে এই সব শব্দমালা প্রবাদ বাক্য হিসেবে ব্যবহৃত হত সেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদেরকে সামান্য পেঁয়াজ চাল আলু কিনতে দিনের সিংহভাগ সময় টিসিবির ট্রাকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই ভূখন্ডে সম্পদের লোভে একদিন বেনিয়ার বেশে এসেছিলো ইংরেজ ফরাসি, ওলন্দাজ ও পর্তুগিজরা সেই বাংলাদেশকে এখন পেঁয়াজ ও আলুর মত কৃষি পণ্য আমদানি করতে হয় ভারত থেকে। যা আমাদের কৃষি ও উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাজার সিন্ডিকেট তৈরীর ফলাফল।

ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, অভাব এবং টাকার মূল্যমান কমার কারণে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বলতে এখন আর কিছু নাই। যার কাছে গত বছর এক লাখ টাকা সঞ্চয় ছিল এখন তার হাত প্রায় শূন্য। তিনি পণ্য উৎপাদনকারী কৃষক ও ভোক্তা পর্যায়ে গণ সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন কৃষককে সাবসিডি দিয়ে তার পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত না করলে আমাদের কৃষি ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় নেমে আসবে। তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে বহুমাত্রিক দুর্ভিক্ষ চলছে বলে মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, এনামুল হক, রুনা হোসাইন, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান, ফজলে এলাহী মোহন সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ‘এবি পার্টি’

আপডেট সময় : ০৪:৫৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের মদদপুষ্ট লুটেরা সিন্ডিকেটকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে দল মত নির্বিশেষে সকল নাগরিককে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে দ্রব্যমূল্যের উপুর্যুপুরি বৃদ্ধি, সরকারের মদদপুষ্ট কালোবাজারী সিন্ডিকেটের কারসাজি এবং তাঁর ভাষায় জবাবদিহিতাবিহীন সরকারের অবাধ লুটপাটের নানা তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর রমজান আসলে তেল, চিনি, পেয়াজের দাম বাড়ে। রমজানে শ্রমজীবী মানুষের আয় অপেক্ষাকৃত কম থাকে। সাধারণ মানুষের খাবারের চাহিদাও কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু রহস্যজনকভাবে প্রতিবছর একটা চক্র কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরী করে দাম বাড়িয়ে ফেলে।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জনদুর্ভোগের জন্য তিনি জবাবদিহিতা বিহীন সরকারের লুটপাটই প্রধানতঃ দায়ী বলে মনে করেন। তাজুল দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দ্রুত মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলেন; দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জনজীবন অসহনীয় করে তোলার পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে
১ . জবাবদিহিতাহীন সরকার জনদুর্ভোগকে পরোয়া না করা
২ . অসাধু ও অনৈতিক সিন্ডিকেট
৩. কৃষি ও দেশীয় উৎপাদন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া
৪. আমদানী নির্ভর অর্থনীতি
৫. ভোক্তা অধিকার রক্ষার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা ও দক্ষতা না থাকা
৬. মুদ্রাস্ফীতি

তিনি আরও বলেন, এবি পার্টি মনে করে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে যে বাংলা ছিলো সম্পদ ও সুখে সমৃদ্ধ যে বাংলাদেশে গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু পুকুর ভরা মাছ এবং আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে এই সব শব্দমালা প্রবাদ বাক্য হিসেবে ব্যবহৃত হত সেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদেরকে সামান্য পেঁয়াজ চাল আলু কিনতে দিনের সিংহভাগ সময় টিসিবির ট্রাকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই ভূখন্ডে সম্পদের লোভে একদিন বেনিয়ার বেশে এসেছিলো ইংরেজ ফরাসি, ওলন্দাজ ও পর্তুগিজরা সেই বাংলাদেশকে এখন পেঁয়াজ ও আলুর মত কৃষি পণ্য আমদানি করতে হয় ভারত থেকে। যা আমাদের কৃষি ও উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাজার সিন্ডিকেট তৈরীর ফলাফল।

ব্রিফিংয়ে এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, অভাব এবং টাকার মূল্যমান কমার কারণে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় বলতে এখন আর কিছু নাই। যার কাছে গত বছর এক লাখ টাকা সঞ্চয় ছিল এখন তার হাত প্রায় শূন্য। তিনি পণ্য উৎপাদনকারী কৃষক ও ভোক্তা পর্যায়ে গণ সচেতনতা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন কৃষককে সাবসিডি দিয়ে তার পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত না করলে আমাদের কৃষি ব্যবস্থাপনায় বিপর্যয় নেমে আসবে। তিনি বর্তমান পরিস্থিতিতে বহুমাত্রিক দুর্ভিক্ষ চলছে বলে মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, এনামুল হক, রুনা হোসাইন, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, পল্টন থানার আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান, ফজলে এলাহী মোহন সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।