১২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাজীপুরের টঙ্গীতে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ইজতেমা। এরই মধ্যে ময়দানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। শীত উপেক্ষা করে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন মুসল্লিরা। যাতায়াত সুবিধায় বাস ও ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন।

শুক্রবার ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। ১৬০ একর জমিতে টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা। তবে ময়দানের পূর্বে কিছু অংশে এখনও কেবল বাঁশের কাঠামো। খিত্তাওয়ারি বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা নিজ উদ্যোগে চট এনে শামিয়ানা টাঙাচ্ছেন।

ভারতের ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য থেকে মুসল্লিরা আসছেন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে। গতকাল পর্যন্ত এক হাজারের মতো ভারতীয় মুসল্লি এসেছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ব ইজতেমায় সাত দেশের মুসল্লিরা একই খিমায় (তাঁবু) অবস্থান করছেন।

দুই শতাধিক সিসিটিভি ও ১৪টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চট সংকট থাকলেও পানি সরবরাহ, টয়লেট ব্যবস্থায় সন্তোষ জানিয়েছেন মুসুল্লিরা। তাঁরা বলছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই লক্ষ্য।

ইজতেমায় আসা আরেক মুসুল্লি বলেন, আল্লাহর জিকিরে থাকলে কোনো সময়ই কষ্ট হবে না। আমার মনে হচ্ছে আল্লাহ আমাদের সামনেই আছেন আমরা এখানেই থাকব।

মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় বাস ও ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন। যানজট কমাতে ট্রাফিক পরিকল্পনা ঢেলে সাজানো হয়েছে। তবে যাতায়াত ব্যবস্থা আরও ভালো করার দাবিও আছে।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, দেশ-বিদেশের লাখো মুসলিম জনতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর। ইতোমধ্যে পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। জিকির-আসকারে সময় পার করছেন মুসল্লিরা। তাদের ধর্মীয় কাজে মনোনিবিষ্ট করতে ও ময়দানে উপস্থিত মুসল্লিদের জমিয়ে রাখতে মুরব্বিরা বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে প্রাথমিক বয়ান দিচ্ছেন।

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ জানান, বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই দলে দলে তবলিগ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিতে শুরু করেন। মুসল্লির দল মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।

এদিকে, মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। ইজতেমাকে ঘিরে যেন কোনো নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। কারো কোনো সমস্যা হলে এলাকাভিত্তিক থানা-পুলিশ, ডিএমপিকে, র‌্যাব কন্ট্রোলরুমে জানাতে পারেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানাতে পারেন।

ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটি।

প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, ট্রাফিক পরিকল্পনা এমনভাবে সাজিয়েছি যে খিত্তার কাছে যে গেট তাঁর গাড়ি এসে সেখানে নামাবে। এরপর সেই গাড়িগুলো সেখান থেকে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পার্কিং করবে।

দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।

কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

আপডেট : ০৬:১৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাজীপুরের টঙ্গীতে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ইজতেমা। এরই মধ্যে ময়দানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। শীত উপেক্ষা করে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন মুসল্লিরা। যাতায়াত সুবিধায় বাস ও ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন।

শুক্রবার ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। ১৬০ একর জমিতে টাঙানো হয়েছে শামিয়ানা। তবে ময়দানের পূর্বে কিছু অংশে এখনও কেবল বাঁশের কাঠামো। খিত্তাওয়ারি বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা নিজ উদ্যোগে চট এনে শামিয়ানা টাঙাচ্ছেন।

ভারতের ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য থেকে মুসল্লিরা আসছেন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে। গতকাল পর্যন্ত এক হাজারের মতো ভারতীয় মুসল্লি এসেছেন বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। বিশ্ব ইজতেমায় সাত দেশের মুসল্লিরা একই খিমায় (তাঁবু) অবস্থান করছেন।

দুই শতাধিক সিসিটিভি ও ১৪টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। চট সংকট থাকলেও পানি সরবরাহ, টয়লেট ব্যবস্থায় সন্তোষ জানিয়েছেন মুসুল্লিরা। তাঁরা বলছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই লক্ষ্য।

ইজতেমায় আসা আরেক মুসুল্লি বলেন, আল্লাহর জিকিরে থাকলে কোনো সময়ই কষ্ট হবে না। আমার মনে হচ্ছে আল্লাহ আমাদের সামনেই আছেন আমরা এখানেই থাকব।

মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় বাস ও ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন। যানজট কমাতে ট্রাফিক পরিকল্পনা ঢেলে সাজানো হয়েছে। তবে যাতায়াত ব্যবস্থা আরও ভালো করার দাবিও আছে।

বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, দেশ-বিদেশের লাখো মুসলিম জনতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীর। ইতোমধ্যে পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। জিকির-আসকারে সময় পার করছেন মুসল্লিরা। তাদের ধর্মীয় কাজে মনোনিবিষ্ট করতে ও ময়দানে উপস্থিত মুসল্লিদের জমিয়ে রাখতে মুরব্বিরা বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে প্রাথমিক বয়ান দিচ্ছেন।

ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ জানান, বিশ্ব ইজতেমার মূল পর্ব শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বুধবার থেকেই দলে দলে তবলিগ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে এসে অবস্থান নিতে শুরু করেন। মুসল্লির দল মাঠের ভেতরে ঢুকে নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিতে শুরু করেছেন।

এদিকে, মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। ইজতেমাকে ঘিরে যেন কোনো নাশকতা সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। কারো কোনো সমস্যা হলে এলাকাভিত্তিক থানা-পুলিশ, ডিএমপিকে, র‌্যাব কন্ট্রোলরুমে জানাতে পারেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানাতে পারেন।

ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটি।

প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, ট্রাফিক পরিকল্পনা এমনভাবে সাজিয়েছি যে খিত্তার কাছে যে গেট তাঁর গাড়ি এসে সেখানে নামাবে। এরপর সেই গাড়িগুলো সেখান থেকে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পার্কিং করবে।

দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। দ্বিতীয় পর্ব হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।