ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
প্রায় ১০ ঘণ্টা পর সচিবালয়ের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস; আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিট, উদ্ধারকাজে সহায়তা করেছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, র‌্যাব :::: সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ষ্ঠ তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, নাশকতা কি-না তা জানা যাবে তদন্তের পর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা :::: আগুনের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন :::: ২০০৪ সালে হওয়া সুনামির ২০ বছর পূর্তি আজ, ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছিল ২ লাখ ২৭ হাজার মানুষের

গাজায় নিহত ২৭ হাজার ছুঁইছুঁই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজারে গিয়ে পৌঁছেছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিস শহরের আল আমল হাসপাতালে সাম্প্রতিক অভিযানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে। খবর আলজাজিরার।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, কোনো কিছুই গাজার জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সম্মিলিত শাস্তিকে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে না।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫০ জন নিহত এবং প্রায় ৩১৩ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৪৫ জনে পৌঁছেছে। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৯৪৯ ফিলিস্তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক ফিলিস্তিনি এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সসহ উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে না পারায় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুবাস শহরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়ঙ্কর যুদ্ধের খবর দিয়েছে আলজাজিরা। রাতে পরিচালিত এই হামলায় ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক যানবাহন ও বুলডোজার ব্যবহার করে। সেখানে ভারী গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরক ব্যবহারের কথা জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। এ ঘটনায় দুজন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরেও ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা এডেন উপসাগরে একটি মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হুতি নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের বন্দরের দিকে যাত্রার সময় মার্কিন জাহাজটিকে হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে।

এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, গাজায় মানবিক দুর্যোগ ঠেকাতে ও দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি এড়াতে ইউএনআরডব্লিউএর তৎপরতা অত্যাবশ্যক।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় নিহত ২৭ হাজার ছুঁইছুঁই

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজারে গিয়ে পৌঁছেছে। পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিস শহরের আল আমল হাসপাতালে সাম্প্রতিক অভিযানে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে। খবর আলজাজিরার।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, কোনো কিছুই গাজার জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সম্মিলিত শাস্তিকে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে না।

স্থানীয় সময় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৫০ জন নিহত এবং প্রায় ৩১৩ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৪৫ জনে পৌঁছেছে। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৫ হাজার ৯৪৯ ফিলিস্তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক ফিলিস্তিনি এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সসহ উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে না পারায় এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহ রয়েছে বলেও জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুবাস শহরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়ঙ্কর যুদ্ধের খবর দিয়েছে আলজাজিরা। রাতে পরিচালিত এই হামলায় ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক যানবাহন ও বুলডোজার ব্যবহার করে। সেখানে ভারী গোলাবর্ষণ ও বিস্ফোরক ব্যবহারের কথা জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। এ ঘটনায় দুজন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরেও ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে, ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা এডেন উপসাগরে একটি মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হুতি নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের বন্দরের দিকে যাত্রার সময় মার্কিন জাহাজটিকে হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে।

এদিকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, গাজায় মানবিক দুর্যোগ ঠেকাতে ও দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি এড়াতে ইউএনআরডব্লিউএর তৎপরতা অত্যাবশ্যক।