ভরা মৌসুমেও মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের ৫০ আমদানিকারককে ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভারত থেকে আলু আমদানি করা হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হলে দাম অনেকটা কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা মো. ইফসুফ আলী জানান, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিনই হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা আলু আমদানির অনুমতির জন্য ঢাকার খামারবাড়িতে আবেদন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে আইপি দেওয়া শুরু হয়। বন্দরের মোট ৪৯ জন আমদানিকারক ৩৪ হাজার মেট্রিকটন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আগামীকাল শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভারত থেকে আলু আমদানি করা হতে পারে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, এখন আলুর ভরা মৌসুম। তার পরও দাম বেড়ে খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। এই অবস্থায় সরকার সামনে রোজায় বাজার স্বাভাবিক রাখতে আলু আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা আমদানিকারকরা আশা করছি আগামীকাল শনিবার না হলে রোববার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আলু আমদানি শুরু হবে। ভারত থেকে আমদানি করা আলু দেশের বাজারে পৌঁছালে দাম ২৫ টাকার নিচে নেমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরেও দেশের বাজারে সংকটের অজুহাতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ৩০ অক্টোবর ভারত থেকে আলু আমদানি করার অনুমতি দেয়। এরপর আমদানি করা আলু বাজারে এলে দাম কমে যায়। তখন সরকার ১৫ ডিসেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ করে দেয়।