Dhaka ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংরক্ষিত আসনে নতুন মুখ চায় আওয়ামী লীগ 

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সাবেক নয়, আওয়ামী লীগ চাইছে নতুন মুখ। তবে কয়েকজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ১৪ দল শরিকদের পছন্দে সুযোগ দেওয়া হতে পারে তিন থেকে চারজনকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আনুপাতিক হারে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে স্বতন্ত্রদের প্রাপ্য ১০টি আসন। আর আওয়ামী লীগের ২২৩ আসনের বিপরীতে প্রাপ্য ৩৭টি আসন। অর্থাৎ সব মিলে আওয়ামী লীগের এখন প্রাপ্য আসনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭টিতে। জাতীয় পার্টি ২ ও অন্য তিন দল জোট করলে তারাও একটি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেটি না হলে ওই আসনেও মনোনয়ন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে এর তফসিল। একই সময়ে মনোনয়ন ফর্ম দেওয়া শুরু করবে আওয়ামী লীগ। তবে এক্ষেত্রে সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা নারীদের দেখতে চান বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, রাজপথে সক্রিয় থাকাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে।

আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, ‘সেখানটায় শিল্পী থাকবেন, তৃণমুল রাজনীতিবীদরা থাকবেন। সেখানে সমাজকর্মীরা থাকবেন। সেখানে অনেক ত্যাগী নেতার পরিবার থেকে সদস্যরা থাকবেন। যদি দল মনে করে, আমার সেখানে যাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বা এরকম প্রক্রিয়ার মধ্যে গিয়ে আমি শেষ পর্যন্ত এই জায়গায় পৌঁছাতে পারি, তবে নিশ্চই যেভাবে কাজ করে আসছি, সেভাবেই কাজ করে যাব।’

যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। বলতে পারেন, আমি একেবারে সামনে থেকে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। ছাত্রলীগে রাজনীতি করেছি, যুবলীগে রাজনীতি করেছি। এরপরে যুব মহিলা লীগে সম্পৃক্ত হয়েছি। দীর্ঘদিনের রাজনীতি যারা করেছে, আমার চাওয়া থাকবে যে তাদেরকেই জননেত্রী মূল্যায়ণ করবেন।’

একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন ৪৩ জন। এবার সরাসরি ভোটে জিতে এসেছেন তাদের চার জন। বাকি ৩৯ জনের অল্প কজনকে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আবার ফেরালেও বেশির ভাগই আসতে পারে নতুন মুখ। আর এতে গুরুত্ব পাবেন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তানেরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সব সেক্টর থেকেই, সাংস্কৃতিক, সমাজসেবী, শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি সব জায়গা থেকেই অল্প বয়স, বেশি বয়স সব মিলিয়েই কিন্তু মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই নারী আসনগুলো পূর্ন করে থাকেন।’

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘অনেক নারী নেত্রী আছেন যাদের ত্যাগ এবং দীর্ঘদিন এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন। হয়ত অদল বদল করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) দেন। হয়ত সেই বিবেচনায় কেউ বাদ পড়বেন, কেউ নতুন আসবেন এরকম করেই হবে ব্যাপারটা।

এছাড়া দলের মনোনয়নবঞ্চিত, লেখক-শিল্পী থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকেও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হতে পারেন দু-তিনজন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই।

সংরক্ষিত আসনে নতুন মুখ চায় আওয়ামী লীগ 

আপডেট : ০৩:০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সাবেক নয়, আওয়ামী লীগ চাইছে নতুন মুখ। তবে কয়েকজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে বলে আভাস দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ১৪ দল শরিকদের পছন্দে সুযোগ দেওয়া হতে পারে তিন থেকে চারজনকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আনুপাতিক হারে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে স্বতন্ত্রদের প্রাপ্য ১০টি আসন। আর আওয়ামী লীগের ২২৩ আসনের বিপরীতে প্রাপ্য ৩৭টি আসন। অর্থাৎ সব মিলে আওয়ামী লীগের এখন প্রাপ্য আসনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭টিতে। জাতীয় পার্টি ২ ও অন্য তিন দল জোট করলে তারাও একটি সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে। সেটি না হলে ওই আসনেও মনোনয়ন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চলতি সপ্তাহেই আসতে পারে এর তফসিল। একই সময়ে মনোনয়ন ফর্ম দেওয়া শুরু করবে আওয়ামী লীগ। তবে এক্ষেত্রে সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা নারীদের দেখতে চান বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, রাজপথে সক্রিয় থাকাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে।

আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, ‘সেখানটায় শিল্পী থাকবেন, তৃণমুল রাজনীতিবীদরা থাকবেন। সেখানে সমাজকর্মীরা থাকবেন। সেখানে অনেক ত্যাগী নেতার পরিবার থেকে সদস্যরা থাকবেন। যদি দল মনে করে, আমার সেখানে যাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে বা এরকম প্রক্রিয়ার মধ্যে গিয়ে আমি শেষ পর্যন্ত এই জায়গায় পৌঁছাতে পারি, তবে নিশ্চই যেভাবে কাজ করে আসছি, সেভাবেই কাজ করে যাব।’

যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনের অগ্রসৈনিক। বলতে পারেন, আমি একেবারে সামনে থেকে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। ছাত্রলীগে রাজনীতি করেছি, যুবলীগে রাজনীতি করেছি। এরপরে যুব মহিলা লীগে সম্পৃক্ত হয়েছি। দীর্ঘদিনের রাজনীতি যারা করেছে, আমার চাওয়া থাকবে যে তাদেরকেই জননেত্রী মূল্যায়ণ করবেন।’

একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছিলেন ৪৩ জন। এবার সরাসরি ভোটে জিতে এসেছেন তাদের চার জন। বাকি ৩৯ জনের অল্প কজনকে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আবার ফেরালেও বেশির ভাগই আসতে পারে নতুন মুখ। আর এতে গুরুত্ব পাবেন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তানেরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সব সেক্টর থেকেই, সাংস্কৃতিক, সমাজসেবী, শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী, এনজিও প্রতিনিধি সব জায়গা থেকেই অল্প বয়স, বেশি বয়স সব মিলিয়েই কিন্তু মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই নারী আসনগুলো পূর্ন করে থাকেন।’

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘অনেক নারী নেত্রী আছেন যাদের ত্যাগ এবং দীর্ঘদিন এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন। হয়ত অদল বদল করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) দেন। হয়ত সেই বিবেচনায় কেউ বাদ পড়বেন, কেউ নতুন আসবেন এরকম করেই হবে ব্যাপারটা।

এছাড়া দলের মনোনয়নবঞ্চিত, লেখক-শিল্পী থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকেও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হতে পারেন দু-তিনজন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই।