০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৫৫ রানে আটকে রাখে তাদের। সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশকে ৩৮.১ ওভারের মধ্যে করতে হতো ১৫৬। তবে সেই রানটুকুও করতে পারেনি যুবা টাইগাররা। অষ্টম উইকেটে মাহফুজুর রহমান রাব্বির উইকেটই যেন বাংলাদেশের হতাশার গল্প লিখে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে। ৫ রানের হারে সেমিতে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয় যুবা টাইগারদের। পাকিস্তানের বোলিং তোপে ১৫০ রানে অলআউট হয় রাব্বির দল।

১৫৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে আগ্রাসী ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় যুবারা। উবেইদ শাহর বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন আশিকুর রহমান শিবলী। আরেক ওপেনার জিশান আলম ফেরেন ১৯ রানে।

৩০ বলে ২০ রান করা রিজওয়ানকে ফেরান আলী রাজা। এরপরই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয় পাকিস্তান। এক পর্যায়ে ৮৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে যুবা টাইগাররা। যদিও সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে আশার আলো দেখান শিহাব জেমস ও অধিনায়ক রাব্বি।

জেমস-রাব্বির ব্যাটে যখন বাংলাদেশ স্বস্তিতে ছিলো ঠিক তখনই পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান উবেইদ। তার পঞ্চম শিকারে পরিণত হয়ে জেমস আউট হন ২৬ রানে। পরের ওভারেই রাজার বলে ১৩ রান করা রাব্বি ফিরলে আরও ফিকে হয়ে যায় আশা। শেষ উইকেট জুটিতে দলকে জেতাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন বর্ষণ ও মারুফ। কিন্তু সেই তীরে এসে ফের তরী ডুবল। জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতেই জিশানের বলে বোল্ড হন মারুফ। আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।

এর আগে, পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। শুরুটা খারাপ হয়নি তাদের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানি দুই ওপেনার শামিল হুসাইন এবং শাহজাইব খানের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। ১৯ রান করে শামিল হুসাইন ও ২৬ রান করে আউট হন শাহজাইব।

বাংলাদেশের পক্ষে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ। অপর ওপেনারকে তুলে নেন শেখ পারভেজ জীবন। এরপরই বল হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। একমাত্র আরাফাত মিনহাজ ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি টাইগার বোলারদের সামনে।

আরাফাত মিনহাজ ৪০ বলে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। ২৯ বলে ১৯ রান করেন আলি আসফান্দ। শেষ পর্যন্ত ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তানের যুবারা। যুবা টাইগারদের পক্ষে চারটি করে উইকেট নেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি নেন ১ উইকেট।

বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে সেমিফাইনালে পাকিস্তান

আপডেট : ০৪:২৯:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৫৫ রানে আটকে রাখে তাদের। সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশকে ৩৮.১ ওভারের মধ্যে করতে হতো ১৫৬। তবে সেই রানটুকুও করতে পারেনি যুবা টাইগাররা। অষ্টম উইকেটে মাহফুজুর রহমান রাব্বির উইকেটই যেন বাংলাদেশের হতাশার গল্প লিখে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে। ৫ রানের হারে সেমিতে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয় যুবা টাইগারদের। পাকিস্তানের বোলিং তোপে ১৫০ রানে অলআউট হয় রাব্বির দল।

১৫৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে আগ্রাসী ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় যুবারা। উবেইদ শাহর বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন আশিকুর রহমান শিবলী। আরেক ওপেনার জিশান আলম ফেরেন ১৯ রানে।

৩০ বলে ২০ রান করা রিজওয়ানকে ফেরান আলী রাজা। এরপরই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেয় পাকিস্তান। এক পর্যায়ে ৮৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে যুবা টাইগাররা। যদিও সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশকে আশার আলো দেখান শিহাব জেমস ও অধিনায়ক রাব্বি।

জেমস-রাব্বির ব্যাটে যখন বাংলাদেশ স্বস্তিতে ছিলো ঠিক তখনই পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান উবেইদ। তার পঞ্চম শিকারে পরিণত হয়ে জেমস আউট হন ২৬ রানে। পরের ওভারেই রাজার বলে ১৩ রান করা রাব্বি ফিরলে আরও ফিকে হয়ে যায় আশা। শেষ উইকেট জুটিতে দলকে জেতাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন বর্ষণ ও মারুফ। কিন্তু সেই তীরে এসে ফের তরী ডুবল। জয় থেকে ৬ রান দূরে থাকতেই জিশানের বলে বোল্ড হন মারুফ। আর তাতেই সেমিফাইনাল খেলার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।

এর আগে, পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। শুরুটা খারাপ হয়নি তাদের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানি দুই ওপেনার শামিল হুসাইন এবং শাহজাইব খানের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। ১৯ রান করে শামিল হুসাইন ও ২৬ রান করে আউট হন শাহজাইব।

বাংলাদেশের পক্ষে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ। অপর ওপেনারকে তুলে নেন শেখ পারভেজ জীবন। এরপরই বল হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। একমাত্র আরাফাত মিনহাজ ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি টাইগার বোলারদের সামনে।

আরাফাত মিনহাজ ৪০ বলে খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস। ২৯ বলে ১৯ রান করেন আলি আসফান্দ। শেষ পর্যন্ত ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তানের যুবারা। যুবা টাইগারদের পক্ষে চারটি করে উইকেট নেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবন। মাহফুজুর রহমান রাব্বি নেন ১ উইকেট।