Dhaka ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে এক বছরে ২৭ হাজারের বেশি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ৭৯২ কোটি টাকা

বিদায়ী ২০২৩ সালে সারা দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গড়ে দিনে ৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব আগুনের মধ্যে সর্বোচ্চ বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে, এরপরই বিড়ি সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা ও গ্যাসের লাইন থেকে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এক বছরে অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আগুনের ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে সারা দেশে ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা করেছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হন। এদিকে আগুন নেভানোর সময় ৪৮ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নিনির্বাপণে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন কর্মী নিহত হন।

কারণভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২%), বিড়ি সিগারেট জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬%), চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি (১৫.১১%), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪%), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯%), গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫%) এবং বাজি পোড়ানো থেকে ৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি-আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারা দেশে বাসা বাড়িতে মোট ৬ হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্না ঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাট বাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহনে ৫০৬টি, নৌ যানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৩ সালে মার্চ (৩,৩৩৪টি), এপ্রিল (৩,১৪১টি), মে (৩,২৩৫টি) এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ হাজার ৭১৩টি, জুন মাসে ২ হাজার ৪৫০টি আগুন লাগে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই চার মাসে আগুনের ঘটনা কম ঘটে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ২৮১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ ও নারী ৬০ জন এবং নিহত ১০২ জনের মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী।

দেশে এক বছরে ২৭ হাজারের বেশি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি ৭৯২ কোটি টাকা

আপডেট : ১০:৩০:২৭ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিদায়ী ২০২৩ সালে সারা দেশে ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গড়ে দিনে ৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এসব আগুনের মধ্যে সর্বোচ্চ বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে, এরপরই বিড়ি সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরা, চুলা ও গ্যাসের লাইন থেকে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এক বছরে অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আগুনের ঘটনায় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে সারা দেশে ফায়ার সার্ভিস আগুন নির্বাপণের মাধ্যমে ১ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার ৩২৯ টাকার সম্পদ রক্ষা করেছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে সারা দেশে ২৮১ জন আহত ও ১০২ জন নিহত হন। এদিকে আগুন নেভানোর সময় ৪৮ জন বিভাগীয় কর্মী আহত এবং অগ্নিনির্বাপণে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন কর্মী নিহত হন।

কারণভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২৭ হাজার ৬২৪টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি (৩৫.৫২%), বিড়ি সিগারেট জ্বলন্ত টুকরা থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি (১৭.৭৬%), চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি (১৫.১১%), ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি (৩.৩৪%), গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি (২.৭৯%), গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি (০.৪৫%) এবং বাজি পোড়ানো থেকে ৮৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাসাবাড়ি-আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সারা দেশে বাসা বাড়িতে মোট ৬ হাজার ৯৫৬টি আগুন লাগে, যা মোট আগুনের ২৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাঁদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্না ঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাট বাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।

পরিবহনে আগুনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে সারাদেশে স্থলপথে চলে এমন যানবাহনে ৫০৬টি, নৌ যানে ৭৩টি এবং ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাস ভিত্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানে জানা যায়, ২০২৩ সালে মার্চ (৩,৩৩৪টি), এপ্রিল (৩,১৪১টি), মে (৩,২৩৫টি) এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে ২ হাজার ৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ হাজার ৭১৩টি, জুন মাসে ২ হাজার ৪৫০টি আগুন লাগে। জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর এই চার মাসে আগুনের ঘটনা কম ঘটে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত নিহতদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। সারাদেশে ২৮১ জন আহতের মধ্যে পুরুষ ২২১ ও নারী ৬০ জন এবং নিহত ১০২ জনের মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী।