Dhaka ০২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে বেড়েছে ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্য

স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সুন্দরবনের দুবলার চরের জেলেরা। চিকিৎসার জন্য চরে নেই কোনো ব্যবস্থা। প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। জেলেদের অভিযোগ, ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্যের কারণে মাছ আহরণ ও আয় কমেছে।

সুন্দরবনের শেষ সীমানায় বঙ্গপোসাগরের তীরে অবস্থিত দুবলার চর। আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া এবং মেহের আলির চর নিয়ে দুবলার চর।

প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলেরা এখানে বসতি গড়ে। সমুদ্রে মাছ ধরে, চরে শুকিয়ে শুটকি তৈরি করে বিক্রি করেন তারা। বছরে প্রায় ৩৫ হাজার জেলে আসে এখানে। কিন্তু এই চরে দুর্যোগে আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় বেড়েছে ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্য। অভিযোগ আছে, ভারতীয় জেলেদের হামলার শিকার হতে হচ্ছে এই চরের জেলেদের। পাশাপাশি এই চরে নেই কোনো প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে হয় অতিরিক্ত দামে।

জেলেরা বলছেন, ভারতীয় মাছ ধরার যে নৌকাগুলো রয়েছে সেগুলো অনেক সময় বাংলাদেশে চলে আসে। ওদেরকে কোনো কিছু বললে মারধর করে। অনেক সময় মাছ ধরার জাল ছিড়ে দিয়ে চলে যায়।

এদিকে সুন্দরবন বন বিভাগের বন সংরক্ষক মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, ‘ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্য নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।’

প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যাগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

বছরে চার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয় দুবলার চরের এই জেলেদের মাধ্যমে। অথচ স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা সমস্যায় রয়েছে জেলেরা। সরকারি সহযোগিতা পেলে জেলেদের জীবন মানের যেমন উন্নয়ন ঘটবে তেমনি বাড়বে রাজস্ব আয়।

শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় হামলাকারীরা: ওবায়দুল কাদের

সুন্দরবনে বেড়েছে ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্য

আপডেট : ১০:১৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সুন্দরবনের দুবলার চরের জেলেরা। চিকিৎসার জন্য চরে নেই কোনো ব্যবস্থা। প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। জেলেদের অভিযোগ, ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্যের কারণে মাছ আহরণ ও আয় কমেছে।

সুন্দরবনের শেষ সীমানায় বঙ্গপোসাগরের তীরে অবস্থিত দুবলার চর। আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া এবং মেহের আলির চর নিয়ে দুবলার চর।

প্রতি বছর অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলেরা এখানে বসতি গড়ে। সমুদ্রে মাছ ধরে, চরে শুকিয়ে শুটকি তৈরি করে বিক্রি করেন তারা। বছরে প্রায় ৩৫ হাজার জেলে আসে এখানে। কিন্তু এই চরে দুর্যোগে আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় বেড়েছে ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্য। অভিযোগ আছে, ভারতীয় জেলেদের হামলার শিকার হতে হচ্ছে এই চরের জেলেদের। পাশাপাশি এই চরে নেই কোনো প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে হয় অতিরিক্ত দামে।

জেলেরা বলছেন, ভারতীয় মাছ ধরার যে নৌকাগুলো রয়েছে সেগুলো অনেক সময় বাংলাদেশে চলে আসে। ওদেরকে কোনো কিছু বললে মারধর করে। অনেক সময় মাছ ধরার জাল ছিড়ে দিয়ে চলে যায়।

এদিকে সুন্দরবন বন বিভাগের বন সংরক্ষক মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, ‘ভারতীয় ফিশিং জাহাজের দৌরাত্ম্য নিয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।’

প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যাগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

বছরে চার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয় দুবলার চরের এই জেলেদের মাধ্যমে। অথচ স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ নানা সমস্যায় রয়েছে জেলেরা। সরকারি সহযোগিতা পেলে জেলেদের জীবন মানের যেমন উন্নয়ন ঘটবে তেমনি বাড়বে রাজস্ব আয়।