ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইয়েমেনে হুথি অবস্থানে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনীর হামলা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লোহিত সাগরে জাহাজে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বারবার হামলার জবাবে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী শনিবার ইয়েমেনে কয়েক ডজন অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। জাহাজে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় বিশ্ব বাণিজ্য ব্যাহত এবং জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

২৮ শে জানুয়ারি জর্ডানে তিন মার্কিন সৈন্য নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সম্পর্কিত লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে মার্কিন বাহিনীর একতরফা ধারাবাহিক হামলার একদিন পরে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী ইয়েমেনে এই যৌথ বিমান হামলা চালায়।

হুথিদের অবস্থানে এটি তৃতীয়বারের মতো ব্রিটিশ এবং আমেরিকান বাহিনীর যৌথভাবে বিমান হামলা এবং এছাড়াও মার্কিন বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে আসছে, তবে জাহাজে বিদ্রোহীদের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশগুলো সমর্থিত যৌথ বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি লোহিত সাগরে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে হুথিদের অব্যাহত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সর্বশেষ হামলায় ‘ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে ৩৬টি হুথি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে’।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘ইরান-সমর্থিত হুথি মিলিশিয়াদের বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলা চালানোর ক্ষমতাকে আরও ব্যাহত ও অবনমিত করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জোট বাহিনী হুথিদের অস্ত্র মজুদ সুবিধা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডারগুলোর সাথে যুক্ত ১৩ টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

অস্টিন কিংবা যৌথ বাহিনীর বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে আঘাত করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি, তবে হুথিদের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বলেছে, সানা এবং অন্যান্য স্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, রয়্যাল এয়ার ফোর্স টাইফুন যুদ্ধবিমান দুটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনসহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে যা হুথিদের আক্রমণ এবং অনুসন্ধান ড্রোন উভয়ই পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, মার্কিন বাহিনী শনিবার এর আগে পৃথকভাবে ছয়টি হুথি এন্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থানে হামলা চালায়, যেগুলো ‘লোহিত সাগরে জাহাজের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত ছিল’।

সামরিক কমান্ড শনিবার আরও বলেছে, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে এবং তার কাছাকাছি এলাকায় দিনে আটটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং এর আগে উড্ডয়নের জন্য তৈরি আরও চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হুথিরা নভেম্বরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজে হামলা শুরু করে। মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার জবাব দেয়। এতে হুথিরা আমেরিকান ও ব্রিটিশ স্বার্থকেও বৈধ লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।

শনিবারের হামলার পর হুথি মুখপাত্র নাসর আল-দিন আমের বলেছেন, ‘হয় আমাদের, ফিলিস্তিন এবং গাজায় শান্তি আছে, অথবা আমাদের অঞ্চলে আপনার জন্য কোন শান্তি বা নিরাপত্তা নেই।’

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,‘আমরা ক্রমবর্ধমান হামলার সাথে সমানভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ইয়েমেনে হুথি অবস্থানে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনীর হামলা

আপডেট সময় : ১০:০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লোহিত সাগরে জাহাজে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বারবার হামলার জবাবে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী শনিবার ইয়েমেনে কয়েক ডজন অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। জাহাজে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় বিশ্ব বাণিজ্য ব্যাহত এবং জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

২৮ শে জানুয়ারি জর্ডানে তিন মার্কিন সৈন্য নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান-সম্পর্কিত লক্ষ্যবস্তু টার্গেট করে মার্কিন বাহিনীর একতরফা ধারাবাহিক হামলার একদিন পরে মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী ইয়েমেনে এই যৌথ বিমান হামলা চালায়।

হুথিদের অবস্থানে এটি তৃতীয়বারের মতো ব্রিটিশ এবং আমেরিকান বাহিনীর যৌথভাবে বিমান হামলা এবং এছাড়াও মার্কিন বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে আসছে, তবে জাহাজে বিদ্রোহীদের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অন্যান্য দেশগুলো সমর্থিত যৌথ বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের পাশাপাশি লোহিত সাগরে চলাচলকারী নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে হুথিদের অব্যাহত আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় সর্বশেষ হামলায় ‘ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে ৩৬টি হুথি লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে’।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘ইরান-সমর্থিত হুথি মিলিশিয়াদের বেপরোয়া ও অস্থিতিশীল হামলা চালানোর ক্ষমতাকে আরও ব্যাহত ও অবনমিত করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জোট বাহিনী হুথিদের অস্ত্র মজুদ সুবিধা, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডারগুলোর সাথে যুক্ত ১৩ টি অবস্থানে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

অস্টিন কিংবা যৌথ বাহিনীর বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোন স্থানে আঘাত করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি, তবে হুথিদের আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বলেছে, সানা এবং অন্যান্য স্থানগুলো লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, রয়্যাল এয়ার ফোর্স টাইফুন যুদ্ধবিমান দুটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশনসহ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে যা হুথিদের আক্রমণ এবং অনুসন্ধান ড্রোন উভয়ই পরিচালনায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলেছে, মার্কিন বাহিনী শনিবার এর আগে পৃথকভাবে ছয়টি হুথি এন্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থানে হামলা চালায়, যেগুলো ‘লোহিত সাগরে জাহাজের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুত ছিল’।

সামরিক কমান্ড শনিবার আরও বলেছে, মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে এবং তার কাছাকাছি এলাকায় দিনে আটটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং এর আগে উড্ডয়নের জন্য তৈরি আরও চারটি ড্রোন ধ্বংস করেছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে হুথিরা নভেম্বরে লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজে হামলা শুরু করে। মার্কিন ও বৃটিশ বাহিনী হুথিদের বিরুদ্ধে হামলার জবাব দেয়। এতে হুথিরা আমেরিকান ও ব্রিটিশ স্বার্থকেও বৈধ লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে।

শনিবারের হামলার পর হুথি মুখপাত্র নাসর আল-দিন আমের বলেছেন, ‘হয় আমাদের, ফিলিস্তিন এবং গাজায় শান্তি আছে, অথবা আমাদের অঞ্চলে আপনার জন্য কোন শান্তি বা নিরাপত্তা নেই।’

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,‘আমরা ক্রমবর্ধমান হামলার সাথে সমানভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’