০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৮ দেখেছেন

জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। আগের সব রেকর্ড ভেঙে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ মোট ৫৭২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির রেকর্ড হয়েছিল। ইপিবির প্রকাশিত তথ্যমতে, জানুয়ারিতে মোট রপ্তানির ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল তৈরি পোশাক পণ্য।

চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে মোট রপ্তানি আয় এসেছে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ২৪৪ কোটি ডলার। এ সময় রপ্তানিতে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

তৈরি পোশাক খাতে চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ডলার। এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ।

এছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটপণ্য, কৃষিপণ্য, ফুটওয়্যার ও তুলা থেকে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতেও হয় ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি। তবে হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত ও জ্যান্ত মাছ রপ্তানিতে আগের বছরের এ সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় নেই।

ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩০ দশমিক ২৪৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, সামগ্রিক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর জানুয়ারিতে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ২৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের প্রবৃদ্ধি হয়েছে পোশাক খাতের রপ্তানিতে। আগের অর্থবছরে যা ছিল ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এরমধ্যে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে ১৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আর ২ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সুবাদে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে শুরু করায় সার্বিক রপ্তানি নতুন এ উচ্চতায় পৌঁছেছে। এসব দেশের অধিকাংশই আর সুদহার বাড়াচ্ছে না এবং তাদের মূল্যস্ফীতি আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, বেশিরভাগ পোশাক পণ্য রপ্তানিতে সরকার নগদ সহায়তা প্রত্যাহার করেছে এবং বাদবাকি পণ্যে তা হ্রাস করেছে। তাই অনুকূল এসব আভাস সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা।

ঢালাওভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে: আসিফ নজরুল

জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড

আপডেট : ০৭:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জানুয়ারিতে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। আগের সব রেকর্ড ভেঙে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ মোট ৫৭২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানির রেকর্ড হয়েছিল। ইপিবির প্রকাশিত তথ্যমতে, জানুয়ারিতে মোট রপ্তানির ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল তৈরি পোশাক পণ্য।

চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে মোট রপ্তানি আয় এসেছে ৩ হাজার ৩২৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ২৪৪ কোটি ডলার। এ সময় রপ্তানিতে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

তৈরি পোশাক খাতে চলতি অর্থবছরের ৭ মাসে রপ্তানি আয় এসেছে ২ হাজার ৮৩৬ কোটি ডলার। এ খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ৩ শতাংশ।

এছাড়াও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটপণ্য, কৃষিপণ্য, ফুটওয়্যার ও তুলা থেকে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানিতেও হয় ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি। তবে হোম টেক্সটাইল, প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত ও জ্যান্ত মাছ রপ্তানিতে আগের বছরের এ সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় নেই।

ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩০ দশমিক ২৪৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, সামগ্রিক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর জানুয়ারিতে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় ১২ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ২৮ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের প্রবৃদ্ধি হয়েছে পোশাক খাতের রপ্তানিতে। আগের অর্থবছরে যা ছিল ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এরমধ্যে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে ১৬ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে। আর ২ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সুবাদে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে শুরু করায় সার্বিক রপ্তানি নতুন এ উচ্চতায় পৌঁছেছে। এসব দেশের অধিকাংশই আর সুদহার বাড়াচ্ছে না এবং তাদের মূল্যস্ফীতি আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, বেশিরভাগ পোশাক পণ্য রপ্তানিতে সরকার নগদ সহায়তা প্রত্যাহার করেছে এবং বাদবাকি পণ্যে তা হ্রাস করেছে। তাই অনুকূল এসব আভাস সত্ত্বেও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা।