পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রাণ বাঁচাতে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। তারা কোন পদ্ধতিতে যাবে, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনই তৃতীয় কোনো দেশের সহযোগিতা নিচ্ছে না বাংলাদেশ। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চায় সাংবাদিকরা। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। আজ সকালে মিয়ানমারের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা তাদের বিজিপি যেসব সদস্য এখানে এসেছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করব। তাদের বাই এয়ার (বিমানযোগে) নাকি বাই বোট (নৌকাযোগে) ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আমাদের একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। এর আগেও ভারতে অনেকে ঢুকে পড়েছিল এবং ভারত থেকে তাদের বিমানযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জো বাইডেনের চিঠির পাওয়ার পর মার্কিনিদের সঙ্গে অস্বস্তি কেটে গেছে। আর কোনো অস্বস্তি নেই। জো বাইডেনের দেয়া এই চিঠি একাধিক ইস্যুতে আরও সুদৃঢ় করবে।
তিনি বলেন, যে কোনো ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। যেখানে প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা ইন্দো প্যাসিফিক সহ একাধিক ক্ষেত্র।