মিয়ানমার সীমান্তে নিরীহ মানুষ মারা যায়, কিন্তু সরকার কোন প্রতিবাদ করে না। অন্যের কাছে গোলামি করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী শিশু অধিকার আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, চীন নিয়ন্ত্রিত দেশ মিয়ানমারে নিজেরা গোলাগুলি করে সেখানকার সেনারা বাংলাদেশে আসছে। এটা নতুন খেলা কিনা ভাবতে হবে। দেশ নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে, এর জবাব সরকারকে একদিন ঠিকই দিতে হবে।
মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাতপূর্ণ উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তে ওপার থেকে গুলি এসে মানুষ মরছে। কিন্তু আমাদের কোনো আওয়াজ আছে? নেই, কেন নেই। তাহলে কেন হাজার-হাজার কোটি টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনি? কেন এতো আধুনিক অস্ত্র কিনি? সেই অস্ত্র যদি সেই দেশের জনগণের ওপর বারবার চালানো হয়, তাহলে সেই দেশকে কী স্বাধীন বলা যায়? কোনো মতেই স্বাধীন বলা যায় না। এ জন্য তো দেশ স্বাধীন করিনি। অন্যের গোলামি করে ক্ষমতার মসনদে বসে থাকার জন্য দেশ স্বাধীন করিনি।’
সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ ন্যুনতম সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নারী নয়, সমগ্র বাংলাদেশই আজ ধর্ষিত হয়েছে।
এ সময় আর প্রতিবাদ নয়, এখন থেকে প্রতিরোধ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে আর কোনো দিন ভোট হবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাদের ক্ষমতায় রেখে কখনো দেশের স্বাধীনতা থাকবে না। তাদের ক্ষমতায় রাখলে কখনো মানুষ নিরাপদ বোধ করবে না। অর্থাৎ মানসম্মান তো দূরের কথা, জীবন নিয়েও বেঁচে থাকার সুযোগ থাকবে না।’
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীসহ অনেকে।