ব্রিটেনের রাজা চার্লস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। ফলে এখন থেকে তিনি জনসমক্ষে সব ধরনের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন। খবর বিবিসি।
রাজা চার্লসের কোন ধরনের ক্যানসার হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে গত মাসে তিন রাত হাসপাতালে কাটিয়েছেন চার্লস। সেখানে তার প্রোস্টেটের চিকিৎসা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাকালে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অন্য একটি বিষয়ে উদ্বেগ দেখা দেয় বলে বাকিংহাম প্রাসাদ জানিয়েছে।
তবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজা চার্লসের প্রোস্টেট ক্যানসার হয়নি।
বাকিংহাম প্রসাদ আরও জানায়, ৭৫ বছর বয়সী রাজা চার্লস চিকিৎসার ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে ইতিবাচক রয়েছেন। খুব শিগগির তিনি পাবলিক ডিউটিতে ফিরবেন বলে আশা করছেন।
মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে চার্লসের।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজা তৃতীয় চার্লস ব্যক্তিগতভাবে তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে নিজের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন। এরপর প্রিন্স উইলিয়াম তার সার্বক্ষণিক খবর রাখছেন। এ ছাড়া বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রিন্স হ্যারি কয়েকদিনের মধ্যে বাবাকে দেখতে যুক্তরাজ্যে আসবেন।
প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে রাজ পরিবার ও তাঁর বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সম্পর্ক ভালো না হলেও বাবা চার্লসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অতটা খারাপ নয়। গত শরতে রাজার ৭৫তম জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স হ্যারি।
এদিকে রাজার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ইতিমধ্যে বাবার সঙ্গে দেখা করেছেন। উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটনও অসুস্থ। সম্প্রতি তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারণা করা হয়েছিল, স্ত্রীর চিকিৎসা শেষে সরকারি দায়িত্বে ফিরে আসবেন প্রিন্স উইলিয়াম। কিন্তু এরই মধ্যে বাবার অসুস্থতার বেদনাদায়ক খবরের মুখোমুখি হতে হলো তাঁকে। এখন তাঁর কাঁধে আরও বড় ধরনের সরকারি দায়িত্ব এসে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজা তৃতীয় চার্লসের উত্তরসুরী প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি সেভাবেই সামনের দিনগুলোতে তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন। আশা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহের শেষের দিকেই তিনি জনসম্মুখে উপস্থিত হবেন।