লক্ষ্যটা ১৪৬ রানের, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট বিবেচনায় যা খুব একটা কঠিন কিছু নয়। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ছুঁড়ে দেওয়ার এই লক্ষ্যের বিপরীতে ব্যাটিং করতে গিয়ে ধুঁকেছে বরিশালের ব্যাটাররা। রান তাড়ায় দারুণ শুরুর পরও জয়ের দেখা পেল না তামিম-মুশফিকরা।
আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৪৫ রান তোলে চট্টগ্রাম। জবাবে, ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২৯ রান তোলে বরিশাল। ১৬ রানের জয়ে পয়েন্টস টেবিলের দুইয়ে উঠে আসল চট্টগ্রাম।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আহমেদ শেহজাদের ব্যাটে শুরুটা ভালোই হয় বরিশালের। দলীয় ২৮ রানের মাথায় শেহজাদের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৭ বলে ১৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এক বল পরেই ফেরেন আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকার। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
পরের ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ে চাপ আরও বাড়ে বরিশালের। সৌম্য এর মতো রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ মিরাজ। পরবর্তীতে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের ব্যাটে চাপ সামাল দেয় বরিশাল। তবে, এই জুটিও খুব বেশি বড় হয়নি। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় ১৩ বলে ৯ রান করে ফেরেন মুশফিক। বরিশাল সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় দলীয় ৯০ রানে অধিনায়ক তামিমের বিদায়ে। ৪৬ বলে ৪৯ রান করে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শোয়েব মালিকের কাঁধে দায়িত্ব পড়ে দলকে টেনে তোলার। তবে, শোয়েব পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। ফেরেন ১২ বলে ১৪ রান করে। লেজের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও জস ব্রাউনের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় চট্টগ্রাম। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় তানজিদের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৯ বলে ১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর টম ব্রুসকে নিয়ে ফের জুটি গড়েন ব্রাউন। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৩২ রান। দলীয় ৭১ রানের মাথায় ব্রাউনের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ২৩ বলে ৩৮ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ব্রুস। এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় দিপুর বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ২০ বলে ১৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দিপুর বিদায়ের পর নতুন ব্যাটার নাজিবউল্লাহ জাদরানও সাজঘরে ফিরতে সময় নেননি। দুই বলে চার রান করেন এই ব্যাটার। শেষদিকে মিডল অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে স্কোরবোর্ডে ১৪৫ রান তোলে চট্টগ্রাম।