ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিপজ্জনক দেশ মিয়ানমার, ‘নিকৃষ্ট’ সরকার জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকার হিসেবে নাম উঠে এসেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের। ২০২১ সালে অং সান সু চিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দমন-পীড়নের কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকের তলানিতে অবস্থান করছে তারা। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করা হয় অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে।

এরপর তিন বছরে জান্তা সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে নিহত হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪ হাজার বেসামরিক নাগরিক। কারাবন্দী হতে হয় ২৫ হাজার মানুষকে। দেশের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করে জান্তা বাহিনী।

এসব কারণে বৈশ্বিক বিভিন্ন সূচকে ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট’ সরকারের তকমা পেয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৩ অনুসারে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি মিয়ানমার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কারাবন্দী করা এবং সাংবাদিক নিপীড়নের দিক থেকে তাদের অবস্থান সবার শীর্ষে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক ফ্রিডম হাউজের মতে, রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক সূচকে ৪০ পয়েন্টের মধ্যে মিয়ানমারের অর্জন শূন্য।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ১ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন, যা মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার তিনভাগের একভাগ। জাতিসংঘ বলছে, জরুরি ভিত্তিতে তাদের ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। দেশটিতে যেকোনো সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বের অন্যতম হাঙ্গার হটস্পট বলেও ঘোষণা করা হয়েছে মিয়ানমারকে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ নাগরিক খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে মাত্র ৩ বছরে বাস্তুচ্যুত ২১ লাখ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিপজ্জনক দেশ মিয়ানমার, ‘নিকৃষ্ট’ সরকার জান্তা

আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট সরকার হিসেবে নাম উঠে এসেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের। ২০২১ সালে অং সান সু চিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দমন-পীড়নের কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূচকের তলানিতে অবস্থান করছে তারা। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা বাহিনী। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করা হয় অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে।

এরপর তিন বছরে জান্তা সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নে নিহত হয়েছে অন্তত সাড়ে ৪ হাজার বেসামরিক নাগরিক। কারাবন্দী হতে হয় ২৫ হাজার মানুষকে। দেশের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭৮ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস করে জান্তা বাহিনী।

এসব কারণে বৈশ্বিক বিভিন্ন সূচকে ‘সবচেয়ে নিকৃষ্ট’ সরকারের তকমা পেয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। গ্লোবাল পিস ইনডেক্স ২০২৩ অনুসারে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি মিয়ানমার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কারাবন্দী করা এবং সাংবাদিক নিপীড়নের দিক থেকে তাদের অবস্থান সবার শীর্ষে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক ফ্রিডম হাউজের মতে, রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক সূচকে ৪০ পয়েন্টের মধ্যে মিয়ানমারের অর্জন শূন্য।

২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে অন্তত ১ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন, যা মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার তিনভাগের একভাগ। জাতিসংঘ বলছে, জরুরি ভিত্তিতে তাদের ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন। দেশটিতে যেকোনো সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিশ্বের অন্যতম হাঙ্গার হটস্পট বলেও ঘোষণা করা হয়েছে মিয়ানমারকে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ নাগরিক খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে। গৃহযুদ্ধের কারণে মাত্র ৩ বছরে বাস্তুচ্যুত ২১ লাখ মানুষ।