মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টারের গোলার আঘাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুজন মারা যাবার একদিনের মাথায় আবারও মর্টার শেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের সীমানায়। আজ মঙ্গলবার সকালে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে মর্টার শেলটি বিস্ফোরিত হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কের জনপদে ভয় আরও বেড়েছে।
সকাল নয়টার দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অন্তত ৩০০ মিটার দূরত্বে থাকা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাড়িতে ছুটে আসে একটি মর্টার শেল। ঘরের পাশে বাগানে বিস্ফোরিত হয় শেলটি। এতে কেউ হতাহত না হলেও শেলের আঘাতে ফুটো হয়ে গেছে বাড়ির দরজা-জানালা। স্পিন্টার আঘাত করে দেয়ালে।
বাড়ির মালিক মোহাম্মদ ইউনুস জানান, ‘সকালে উঠানে রোদ পোহাচ্ছিলাম। হুট করে ঘরের পেছনে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠে পুরো এলাকা। ভয়ে সবাই ঘরে আশ্রয় নিই। এখন আতঙ্কে কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।’
ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার বাহিনীর ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তর দখলে তীব্র লড়াই চলছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশে এসে পড়ে মর্টারের গোলা ও গুলি। মর্টার শেল আঘাত হানার পর আতঙ্কিত জনপদে শুরু হয় ছুটোছুটি। দিশেহারা মানুষ বুঝে উঠতে পারে না, কোথায় যাবেন?
সোমবারও রাতভর গোলাগুলির শব্দে ঘুমহীন সময় কাটিয়েছে এই এলাকার মানুষ। সকাল সকাল এই ঘটনা পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থতি বিরাজ করছে। স্থানীয় বেতবুনিয়া বাজারের দোকানদার মো. দিদার হোসেন জানান, ‘গতকাল দুজন মারা গেছে। আজও একটি মর্টার শেল পড়েছে। কখন কি হয়, সেই চিন্তায় আছি।’
মর্টার শেলের বিস্ফোরণের পর খন্ডাংশটি স্থানীয় বিজিবি চেকপোস্টে জমা দিয়েছে এলাকাবাসী।
মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টারের আঘাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুই জন মারা যাবার একদিনের মাথায় আবারও মর্টার শেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের সীমানায়। মঙ্গলবার সকালে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে মর্টার শেলটি বিস্ফোরিত হয়। এই ঘটনায় আতঙ্কের জনপদে ভয় আরও বেড়েছে।