০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমার সংকট সমাধানে থাইল্যান্ডের প্রচেষ্টা

সংঘাতপূর্ণ মিয়ানমারের সংকট সমাধানে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে থাইল্যান্ড। জান্তাশাসিত মিয়ানমারে লড়াইরত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে একটি নতুন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে তারা। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসক ফুয়াংকেটকিও।

সিহাসক ফুয়াংকেটকিও বলেন, মিয়ানমারের সংঘাত নিরসনে লড়াইরত পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করছে তারা। চলমান সংঘাত নিয়ে ইতিমধ্যে মিয়ানমারের আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপ, চীন, ভারত ও আমেরিকার মতো দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া চলতি মাসের শেষদিকে থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে একটি মানবিক নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায় থাইল্যান্ড। রেডক্রসের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে সেখানে সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ২০ হাজার মানুষকে মানবিক ত্রাণ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের।

এদিকে বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্রোহীদের আক্রমণে ক্রমাগত চাপের মুখে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। বিদ্রোহীদের কাছে উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মিন অং হ্লাইংয়ের জান্তা বাহিনী। পশ্চিম সীমান্তে আরাকান আর্মির (এএ) হামলায় পিছু হটছে তারা। এরই মধ্যে একে একে সেখানকার সব সামরিক ঘাঁটি চলে যাচ্ছে আরাকান আর্মির দখলে।

বেসরকারি সংবাদ পরিষেবা সংস্থা রেডিও ফ্রি এশিয়া বলছে, রোববার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমার বর্ডার গার্ড ফোর্সের আরও একটি ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তের এই ঘাঁটিতে পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়ে চালানো হয় এই হামলা।

হামলার পর পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে দৌঁড়ে পালায় বিজিপি সদস্যরা। এরই মধ্যে এভাবে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ২২৯ জন বিজিপি। মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

মিয়ানমার সংকট সমাধানে থাইল্যান্ডের প্রচেষ্টা

আপডেট : ০৯:০০:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সংঘাতপূর্ণ মিয়ানমারের সংকট সমাধানে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে থাইল্যান্ড। জান্তাশাসিত মিয়ানমারে লড়াইরত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত করতে একটি নতুন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে তারা। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসক ফুয়াংকেটকিও।

সিহাসক ফুয়াংকেটকিও বলেন, মিয়ানমারের সংঘাত নিরসনে লড়াইরত পক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করছে তারা। চলমান সংঘাত নিয়ে ইতিমধ্যে মিয়ানমারের আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপ, চীন, ভারত ও আমেরিকার মতো দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া চলতি মাসের শেষদিকে থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তে একটি মানবিক নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায় থাইল্যান্ড। রেডক্রসের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে সেখানে সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ২০ হাজার মানুষকে মানবিক ত্রাণ দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের।

এদিকে বিভিন্ন রাজ্যে বিদ্রোহীদের আক্রমণে ক্রমাগত চাপের মুখে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। বিদ্রোহীদের কাছে উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে মিন অং হ্লাইংয়ের জান্তা বাহিনী। পশ্চিম সীমান্তে আরাকান আর্মির (এএ) হামলায় পিছু হটছে তারা। এরই মধ্যে একে একে সেখানকার সব সামরিক ঘাঁটি চলে যাচ্ছে আরাকান আর্মির দখলে।

বেসরকারি সংবাদ পরিষেবা সংস্থা রেডিও ফ্রি এশিয়া বলছে, রোববার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমার বর্ডার গার্ড ফোর্সের আরও একটি ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায় আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তের এই ঘাঁটিতে পূর্ণ সামরিক শক্তি নিয়ে চালানো হয় এই হামলা।

হামলার পর পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে দৌঁড়ে পালায় বিজিপি সদস্যরা। এরই মধ্যে এভাবে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ২২৯ জন বিজিপি। মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।