ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শীর্ষস্থান মজবুত করল রংপুর

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চোখের সমস্যায় চলতি বিপিএলে শুরুর কয়েক ম্যাচে মোটেও ছন্দে ছিলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অবশেষে, বিপিএলের ২১তম ম্যাচে এসে ভক্তদের সেই আক্ষেপ মেটালেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের কার্যকরী ইনিংস। সাকিবের এমন রানের ফেরার ম্যাচে স্বাগতিক ঢাকাকে ৬০ রানে হারিয়ে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান মজবুত করল রংপুর রাইডার্স।

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর। জবাবে ১৮ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামে ঢাকা।

বড় সংগ্রহ তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক ঢাকার। দলীয় দুই রানের মাথায় ওপেনার সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় দলটি। অভিষেকটা ভালো হয়নি এই ওপেনারের। পাঁচ বল খেলে মাত্র এক রান আসে তার ব্যাট থেকে। সাব্বিরের বিদায়ে পরের ওভারেই বিদায় নেন পাকিস্তানি টপঅর্ডার ব্যাটার সাইম আইয়ুব। আট বল খেলে দুই রান আসে তার ব্যাট থেকে।

শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ঢাকা। সেই চাপ সামলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অ্যালেক্স রস ও গুলবাদিন নাইব। যদিও এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় রসের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৯ বলে মাত্র দুই রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয় ১১৫ রানে থামে স্বাগতিক ঢাকা। দলটির হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মোহাম্মদ নাইম। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও দারুণ ছন্দে ছিলেন সাকিব। চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের ওপেনিং জুটি হতাশ করে ভক্তদের। রনি তালুকদার ও বাবর আজম মিলে তোলেন ৬৭ রান। ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আরাফাত সানির বলে লেগ বিফোর হন রনি।

আরেক ওপেনার বাবর অর্ধশতক থেকে তিন রান দূরে আউট হন। ৪৩ বলে ৪৭ রানের ধীরগতির ইনিংসটি থামে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে গুলবাদিন নাঈবের ক্যাচ হয়ে। ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন। ২০ বলে ৩৪ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসটিও থামান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক।

শেষ দিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ১০ বলে অপরাজিত ১৬ এবং মোহাম্মদ নবীর ১৬ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে রংপুর পায় ১৭৫ রানের চমৎকার সংগ্রহ। দুদলের ফর্ম বিবেচনায় জয়ের জন্য এটি রংপুরের যথেষ্ট সংগ্রহ। যদিও, জয়ের খোঁজে থাকা ঢাকা ম্যাচ নিজেদের করে নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ঢাকার পক্ষে ৩০ রান দিয়ে দুই উইকেট পান মোসাদ্দেক। একটি করে উইকেট পান সানি ও সাব্বির হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষস্থান মজবুত করল রংপুর

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চোখের সমস্যায় চলতি বিপিএলে শুরুর কয়েক ম্যাচে মোটেও ছন্দে ছিলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অবশেষে, বিপিএলের ২১তম ম্যাচে এসে ভক্তদের সেই আক্ষেপ মেটালেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের কার্যকরী ইনিংস। সাকিবের এমন রানের ফেরার ম্যাচে স্বাগতিক ঢাকাকে ৬০ রানে হারিয়ে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান মজবুত করল রংপুর রাইডার্স।

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর। জবাবে ১৮ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানে থামে ঢাকা।

বড় সংগ্রহ তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক ঢাকার। দলীয় দুই রানের মাথায় ওপেনার সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় দলটি। অভিষেকটা ভালো হয়নি এই ওপেনারের। পাঁচ বল খেলে মাত্র এক রান আসে তার ব্যাট থেকে। সাব্বিরের বিদায়ে পরের ওভারেই বিদায় নেন পাকিস্তানি টপঅর্ডার ব্যাটার সাইম আইয়ুব। আট বল খেলে দুই রান আসে তার ব্যাট থেকে।

শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ঢাকা। সেই চাপ সামলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অ্যালেক্স রস ও গুলবাদিন নাইব। যদিও এই জুটিও খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় রসের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৯ বলে মাত্র দুই রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয় ১১৫ রানে থামে স্বাগতিক ঢাকা। দলটির হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মোহাম্মদ নাইম। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও দারুণ ছন্দে ছিলেন সাকিব। চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের ওপেনিং জুটি হতাশ করে ভক্তদের। রনি তালুকদার ও বাবর আজম মিলে তোলেন ৬৭ রান। ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আরাফাত সানির বলে লেগ বিফোর হন রনি।

আরেক ওপেনার বাবর অর্ধশতক থেকে তিন রান দূরে আউট হন। ৪৩ বলে ৪৭ রানের ধীরগতির ইনিংসটি থামে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে গুলবাদিন নাঈবের ক্যাচ হয়ে। ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন। ২০ বলে ৩৪ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসটিও থামান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক।

শেষ দিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ১০ বলে অপরাজিত ১৬ এবং মোহাম্মদ নবীর ১৬ বলে ২৯ রানের ক্যামিওতে রংপুর পায় ১৭৫ রানের চমৎকার সংগ্রহ। দুদলের ফর্ম বিবেচনায় জয়ের জন্য এটি রংপুরের যথেষ্ট সংগ্রহ। যদিও, জয়ের খোঁজে থাকা ঢাকা ম্যাচ নিজেদের করে নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ঢাকার পক্ষে ৩০ রান দিয়ে দুই উইকেট পান মোসাদ্দেক। একটি করে উইকেট পান সানি ও সাব্বির হোসেন।