০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরমাণুচুল্লি তৈরির কাজ শুরু করেছে ইরান

নতুন পরমাণুচুল্লি তৈরির ঘোষণা করে ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান মহম্মদ ইসলামি জানিয়েছেন, ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্রে নতুন পরমাণুচুল্লি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি দেশের চতুর্থ পরমাণুচুল্লি। সম্প্রতি ইরানের সরকার জানিয়েছিল, দেশের দক্ষিণে একটি পরমাণু প্রকল্পের কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে।

ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান বলেছেন, ‘ইসফাহানে নতুন পরমাণুচুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ভিতে কংক্রিট ঢালা হয়েছে।’

ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ এই খবর প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, নতুন এই পরমাণুচুল্লিটি ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। সঙ্গে এটি আরও বেশ কিছু কাজ করতে সক্ষম হবে। এই চুল্লি তেল ও পরমাণু সংক্রান্ত জিনিস পরীক্ষা করতে পারবে। রেডিওআইসোটোপ তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। এ ছাড়া রেডিওফারমাসিউটিকলসও তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। ইসফাহানের এই কেন্দ্রে এর আগে তিনটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো এখন সচল। এটি চতুর্থ চুল্লি।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই উদ্বিগ্ন। তাদের বক্তব্য, ইরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়। বস্তুত, একের পর এক পরমাণু কেন্দ্র গড়ে তুলে ইরান আসলে অস্ত্র তৈরির পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ইরান অবশ্য কখনোই এই বক্তব্য সমর্থন করে না। তারা বরাবরই জানিয়ে এসেছে যে, তাদের সমস্ত পরমাণু প্রকল্পই জনগণের জন্য। অর্থাৎ, মূলত বিদ্যুৎপ্রকল্প। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের এই বক্তব্য সমর্থন করে না। বস্তুত, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সময়ে আমেরিকা সেই চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।

জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়ের সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানান, ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য ইরান তাদের দিচ্ছে না।

ইরানের পরমাণু প্রকল্পের প্রধান অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের সব প্রকল্পই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা চিন্তা করে। সে কারণে দেশের দক্ষিণে একটি নতুন পরমাণু কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের। ২০৪১ সালের মধ্যে সব মিলিয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লি থেকে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষেই প্রকল্পগুলো তৈরি হচ্ছে।

আমেরিকা, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া হলো পাঁচটি দেশ যারা ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি করে। ইরানে আপাতত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি হয়।

পরমাণুচুল্লি তৈরির কাজ শুরু করেছে ইরান

আপডেট : ০৭:৪৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নতুন পরমাণুচুল্লি তৈরির ঘোষণা করে ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান মহম্মদ ইসলামি জানিয়েছেন, ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্রে নতুন পরমাণুচুল্লি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি দেশের চতুর্থ পরমাণুচুল্লি। সম্প্রতি ইরানের সরকার জানিয়েছিল, দেশের দক্ষিণে একটি পরমাণু প্রকল্পের কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে।

ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান বলেছেন, ‘ইসফাহানে নতুন পরমাণুচুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ভিতে কংক্রিট ঢালা হয়েছে।’

ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ এই খবর প্রকাশ করেছে। তারা জানায়, নতুন এই পরমাণুচুল্লিটি ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। সঙ্গে এটি আরও বেশ কিছু কাজ করতে সক্ষম হবে। এই চুল্লি তেল ও পরমাণু সংক্রান্ত জিনিস পরীক্ষা করতে পারবে। রেডিওআইসোটোপ তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। এ ছাড়া রেডিওফারমাসিউটিকলসও তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। ইসফাহানের এই কেন্দ্রে এর আগে তিনটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলো এখন সচল। এটি চতুর্থ চুল্লি।

ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই উদ্বিগ্ন। তাদের বক্তব্য, ইরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়। বস্তুত, একের পর এক পরমাণু কেন্দ্র গড়ে তুলে ইরান আসলে অস্ত্র তৈরির পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ইরান অবশ্য কখনোই এই বক্তব্য সমর্থন করে না। তারা বরাবরই জানিয়ে এসেছে যে, তাদের সমস্ত পরমাণু প্রকল্পই জনগণের জন্য। অর্থাৎ, মূলত বিদ্যুৎপ্রকল্প। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের এই বক্তব্য সমর্থন করে না। বস্তুত, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সময়ে আমেরিকা সেই চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।

জাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়ের সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানান, ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য ইরান তাদের দিচ্ছে না।

ইরানের পরমাণু প্রকল্পের প্রধান অবশ্য জানিয়েছেন, তাদের সব প্রকল্পই বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা চিন্তা করে। সে কারণে দেশের দক্ষিণে একটি নতুন পরমাণু কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের। ২০৪১ সালের মধ্যে সব মিলিয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লি থেকে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই লক্ষেই প্রকল্পগুলো তৈরি হচ্ছে।

আমেরিকা, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া হলো পাঁচটি দেশ যারা ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি করে। ইরানে আপাতত তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরমাণু চুল্লিতে তৈরি হয়।