ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এল আরও ৬৩ বিজিপি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৬৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উত্তর কোনাপাড়া সীমান্ত দিয়ে বুধবার দুপুরে অস্ত্রশস্ত্রসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তাঁরা।

টেকনাফ–২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৬৩ মিয়ানমার বিজিপিকে হোয়াইক্যংয়ের ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এঁরা সবাই বিজিপির সদস্য কি না—তা যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষাগত সমস্যাসহ নানা কারণে এখনও পরিপূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে সকলেই মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।

এর আগে গত চারদিনে মিয়ানমারের সেনা, বিজিপিসহ আরও ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এ নিয়ে মোট ৩২৭ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দিনভর সংঘর্ষ আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলা–বারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে। আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপি, মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাঁদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এল আরও ৬৩ বিজিপি

আপডেট সময় : ১০:০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৬৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের উত্তর কোনাপাড়া সীমান্ত দিয়ে বুধবার দুপুরে অস্ত্রশস্ত্রসহ বাংলাদেশে আশ্রয় নেন তাঁরা।

টেকনাফ–২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ৬৩ মিয়ানমার বিজিপিকে হোয়াইক্যংয়ের ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এঁরা সবাই বিজিপির সদস্য কি না—তা যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষাগত সমস্যাসহ নানা কারণে এখনও পরিপূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে সকলেই মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের সঙ্গে যুক্ত বলে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া গেছে।

এর আগে গত চারদিনে মিয়ানমারের সেনা, বিজিপিসহ আরও ২৬৪ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এ নিয়ে মোট ৩২৭ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দিনভর সংঘর্ষ আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলা–বারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে। আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত বিজিপি, মিয়ানমার সেনাবাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাঁদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।