ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রেকর্ড ৪৪ হাজার কোটা খালি রেখেই শেষ হলো হজ নিবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোটা পূরণ হল না হজ নিবন্ধনের। ৪৪ হাজার কোটা খালি রেখে শেষ হলো হজের নিবন্ধন। চার বার সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার ছিল নিবন্ধনের শেষ দিন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন।

যদিও হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাব বলছে আগামীতে বাংলাদেশের জন্য হজের নির্ধারিত কোটায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না। মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও ওমরা পালনে বেশি আগ্রহ থাকার কারণেই হজের নিবন্ধনে ভাটা পড়েছে বলেও মত সংগঠন।

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ২৬০ জন। আর বেসরকারিভাবে করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫। সবমিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। ফলে সৌদির দেয়া কোটার মধ্যে ৪৪ হাজারের বেশি কোটা খালি রয়ে গেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সংখ্যা চূড়ান্ত করে বাকি কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দেওয়া হবে।

২০২৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।

চাঁদ দেখা-সাপেক্ষে এ বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রেকর্ড ৪৪ হাজার কোটা খালি রেখেই শেষ হলো হজ নিবন্ধন

আপডেট সময় : ০৯:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোটা পূরণ হল না হজ নিবন্ধনের। ৪৪ হাজার কোটা খালি রেখে শেষ হলো হজের নিবন্ধন। চার বার সময় বাড়িয়েও হজের নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার ছিল নিবন্ধনের শেষ দিন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন।

যদিও হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাব বলছে আগামীতে বাংলাদেশের জন্য হজের নির্ধারিত কোটায় এর কোনো প্রভাব পড়বে না। মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া ও ওমরা পালনে বেশি আগ্রহ থাকার কারণেই হজের নিবন্ধনে ভাটা পড়েছে বলেও মত সংগঠন।

সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ২৬০ জন। আর বেসরকারিভাবে করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫। সবমিলিয়ে নিবন্ধন করেছেন ৮৩ হাজার ১৫৫ জন। ফলে সৌদির দেয়া কোটার মধ্যে ৪৪ হাজারের বেশি কোটা খালি রয়ে গেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ অনুবিভাগ) মতিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সংখ্যা চূড়ান্ত করে বাকি কোটা সৌদি সরকারকে ফেরত দেওয়া হবে।

২০২৪ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।

চাঁদ দেখা-সাপেক্ষে এ বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।