০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতায় থাকতে বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ : গয়েশ্বর

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান উত্তেজনা এবং এর ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সৃষ্ট পরিস্থিতির নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘শুধু ক্ষমতায় থাকতে বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি এমন অসহনীয় থাকলে দেশের অর্থনৈতিক, কূটনীতিকসহ সব খাতে বিপর্যয় হবে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া নতুন কোনো ষড়যন্ত্র কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

বুধবার (৭ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের প্রশ্ন, বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কেন ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে? এই সময়ে বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে কেন ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করেছে?

বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আন্দোলনের গতিবিধি এক থাকে না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে, আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি শিগগিরই আরও স্পষ্ট হবে।’

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘বিএনপির সব কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতার ফসল। বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ হাজারো কর্মী এখন কারাগারে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি মোকাবিলা করছে সহিংস-সশস্ত্র সরকারকে। প্রতিদিন পুলিশি নির্বাচন ও বিচার বিভাগের অবিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিএনপিকে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন মধ্যযুগের বর্বরতাকে হার মানাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করেছে। গণ-অভ্যুত্থানে পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির ওপর হামলা, নির্যাতন করছে।’

গয়েশ্বর বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত, দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আত্মত্যাগ, তথা সার্থকতা। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিতে, বিএনপি মোকাবেলা করে চলেছে সহিংস শেখ হাসিনা সরকারকে। অন্যদিকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ আওয়ামী লীগ, একটি দানবীয় অপশক্তিতে পরিণত হয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ধারণ করেছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে।

গয়েশ্বর আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর নৃশংস অত্যাচার-অবিচার হয়ে আসছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হওয়ার অপরাধে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস না করার অজুহাতে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী প্রতিদিন পুলিশি নিপীড়ন ও বিচার বিভাগের অবিচারের শিকার হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে মরিয়া সরকার। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় হতো। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব সরকারকেই আরও মারমুখী করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, অসম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত সরকার।’

মঈন খান বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় চলমান আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। ক্ষমতার উৎস দেশের মানুষ, আওয়ামী লীগ বিদেশি শক্তিতে টিকে আছে। আন্দোলন অব্যাহত থাকলে ফ্যাসিবাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইমলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুদ্দিন আহমেদ, আবুল খায়ের ভুইয়া, সুকোমল বড়ুয়া, তাহসিনা রুশদির লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও হারুন অর রশিদসহ অন্যরা।

ক্ষমতায় থাকতে বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ : গয়েশ্বর

আপডেট : ০৮:৫৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান উত্তেজনা এবং এর ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সৃষ্ট পরিস্থিতির নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘শুধু ক্ষমতায় থাকতে বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি এমন অসহনীয় থাকলে দেশের অর্থনৈতিক, কূটনীতিকসহ সব খাতে বিপর্যয় হবে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া নতুন কোনো ষড়যন্ত্র কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

বুধবার (৭ জানুয়ারি) গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের প্রশ্ন, বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কেন ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে গ্রেপ্তার করেছে? এই সময়ে বিএনপির রাজনীতি করার অপরাধে কেন ১১ জন কর্মীকে কারাগারে হত্যা করেছে?

বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আন্দোলনের গতিবিধি এক থাকে না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে, আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি শিগগিরই আরও স্পষ্ট হবে।’

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘বিএনপির সব কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি বিএনপির সাংগঠনিক সক্ষমতার ফসল। বানরের পিঠা ভাগের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ হাজারো কর্মী এখন কারাগারে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি মোকাবিলা করছে সহিংস-সশস্ত্র সরকারকে। প্রতিদিন পুলিশি নির্বাচন ও বিচার বিভাগের অবিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বিএনপিকে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন মধ্যযুগের বর্বরতাকে হার মানাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করেছে। গণ-অভ্যুত্থানে পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির ওপর হামলা, নির্যাতন করছে।’

গয়েশ্বর বলেন, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরেই নিহিত, দেশের বৃহত্তম ও জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আত্মত্যাগ, তথা সার্থকতা। কারণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতে এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস কর্মসূচিতে, বিএনপি মোকাবেলা করে চলেছে সহিংস শেখ হাসিনা সরকারকে। অন্যদিকে ক্ষমতার মোহে অন্ধ আওয়ামী লীগ, একটি দানবীয় অপশক্তিতে পরিণত হয়ে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকে ধারণ করেছে ঘৃণ্য রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে।

গয়েশ্বর আরও বলেন, গত ১৫ বছরে বিএনপির সঙ্গে জড়িত প্রতিটি ব্যক্তি ও পরিবারের ওপর নৃশংস অত্যাচার-অবিচার হয়ে আসছে। দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমের অজস্র প্রতিবেদনে তা লিপিবদ্ধ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে শামিল হওয়ার অপরাধে, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস না করার অজুহাতে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মী তাদের নাগরিক জীবন থেকে বঞ্চিত। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী প্রতিদিন পুলিশি নিপীড়ন ও বিচার বিভাগের অবিচারের শিকার হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে মরিয়া সরকার। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের শোচনীয় পরাজয় হতো। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব সরকারকেই আরও মারমুখী করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি, অসম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত সরকার।’

মঈন খান বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষায় চলমান আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিএনপি। ক্ষমতার উৎস দেশের মানুষ, আওয়ামী লীগ বিদেশি শক্তিতে টিকে আছে। আন্দোলন অব্যাহত থাকলে ফ্যাসিবাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইমলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সিরাজুদ্দিন আহমেদ, আবুল খায়ের ভুইয়া, সুকোমল বড়ুয়া, তাহসিনা রুশদির লুনা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও হারুন অর রশিদসহ অন্যরা।