ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

নিজ নাগরিকদের রাখাইন ছাড়তে নির্দেশ ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিরোধ, সংঘর্ষে কার্যত ভেঙে পড়েছে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতে বাড়ছে অনুপ্রবেশ। প্রাণে বাঁচতে সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন মিয়ানমারের নাগরিকরা।

অবিলম্বে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করতে নিজের নাগরিকদের নির্দেশ দিয়েছে ভারত। দেশটিতে সেনাবাহিনী ও জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এই প্রথম এমন নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একই সঙ্গে ওই অঞ্চল সফরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে।

বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে- নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি, টেলিযোগাযোগে বিঘ্ন, স্থল মাইন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মারাত্মক সঙ্কট সেখানে। এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ সফরে না যেতে ভারতীয় সব নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যারা এরই মধ্যে ওই রাজ্যে অবস্থান করছেন তাদেরকে অবিলম্বে রাখাইন ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ব্যাপকভাবে সহিংস বিক্ষোভের সাক্ষী হয়ে আসছে মিয়ানমার।

আর রাখাইন প্রদেশসহ দেশটির অন্যান্য অনেক অঞ্চলে গত বছরের অক্টোবর থেকে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই দেখা গেছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অঞ্চলে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে মণিপুর এবং মিজোরামের নিরাপত্তা নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগও বেশ বেড়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তার বিরোধীদের লক্ষ্য করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনাকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিজ নাগরিকদের রাখাইন ছাড়তে নির্দেশ ভারতের

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিরোধ, সংঘর্ষে কার্যত ভেঙে পড়েছে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি বাংলাদেশ ও ভারতে বাড়ছে অনুপ্রবেশ। প্রাণে বাঁচতে সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন মিয়ানমারের নাগরিকরা।

অবিলম্বে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ত্যাগ করতে নিজের নাগরিকদের নির্দেশ দিয়েছে ভারত। দেশটিতে সেনাবাহিনী ও জাতিগত বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান ভয়াবহ যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এই প্রথম এমন নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

একই সঙ্গে ওই অঞ্চল সফরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে।

বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে- নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি, টেলিযোগাযোগে বিঘ্ন, স্থল মাইন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মারাত্মক সঙ্কট সেখানে। এর প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ সফরে না যেতে ভারতীয় সব নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যারা এরই মধ্যে ওই রাজ্যে অবস্থান করছেন তাদেরকে অবিলম্বে রাখাইন ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ব্যাপকভাবে সহিংস বিক্ষোভের সাক্ষী হয়ে আসছে মিয়ানমার।

আর রাখাইন প্রদেশসহ দেশটির অন্যান্য অনেক অঞ্চলে গত বছরের অক্টোবর থেকে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই দেখা গেছে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও অঞ্চলে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে মণিপুর এবং মিজোরামের নিরাপত্তা নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগও বেশ বেড়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তার বিরোধীদের লক্ষ্য করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনাকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।