ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিদেশি সমর্থন হারাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুদ্ধক্ষেত্রে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থান আর অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদেশি সমর্থন হারাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, রাশিয়ার সমর্থন থাকলেও, চীনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তিক্ততা বেড়েছে। এমনকি বেইজিং মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও দাবি করেছে দ্য ডিপ্লোম্যাট।

তিন বছর আগে, গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জান্তা সরকারকে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীনসহ কয়েকটি দেশ। তবে গত অক্টোবর থেকে উত্তর-পূর্বে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এরই মধ্যে চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তের চার শতাধিক সেনাঘাঁটি ও ১২ শহরের দখল হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সীমান্ত ২ হাজার ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে অক্ষম জান্তা সরকারের প্রতি হতাশ চীন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে অস্ত্র সরররাহ করছে বেইজিং।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিং-নেপিদো উত্তেজনা নিরসনে ব্যর্থ রাশিয়া। চীনের অস্বস্তিতে ঝুঁকিতে পড়বে মিয়ানমারে রাশিয়ার বিনিয়োগ। তবে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে রাশিয়া জান্তা বাহিনীকে সমর্থন দেবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন হারিয়েছে জান্তা সরকার। এ ছাড়া অভ্যুত্থানের পর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞায় তাদেরকে বেকায়দায় ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ভারত ও থাইল্যান্ড বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে, এমন কোনো প্রমাণ না মিললেও, দেশ দুটিকে বিদ্রোহীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশি সমর্থন হারাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী

আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

যুদ্ধক্ষেত্রে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থান আর অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বিদেশি সমর্থন হারাচ্ছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট বলছে, রাশিয়ার সমর্থন থাকলেও, চীনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তিক্ততা বেড়েছে। এমনকি বেইজিং মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও দাবি করেছে দ্য ডিপ্লোম্যাট।

তিন বছর আগে, গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জান্তা সরকারকে সমর্থন দেয় রাশিয়া, চীনসহ কয়েকটি দেশ। তবে গত অক্টোবর থেকে উত্তর-পূর্বে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এরই মধ্যে চীন, ভারত ও থাইল্যান্ড সীমান্তের চার শতাধিক সেনাঘাঁটি ও ১২ শহরের দখল হারিয়েছে জান্তা বাহিনী।

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সীমান্ত ২ হাজার ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে অক্ষম জান্তা সরকারের প্রতি হতাশ চীন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে অস্ত্র সরররাহ করছে বেইজিং।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিং-নেপিদো উত্তেজনা নিরসনে ব্যর্থ রাশিয়া। চীনের অস্বস্তিতে ঝুঁকিতে পড়বে মিয়ানমারে রাশিয়ার বিনিয়োগ। তবে আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে রাশিয়া জান্তা বাহিনীকে সমর্থন দেবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

রোহিঙ্গা গণহত্যা ইস্যুতে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন হারিয়েছে জান্তা সরকার। এ ছাড়া অভ্যুত্থানের পর কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞায় তাদেরকে বেকায়দায় ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ভারত ও থাইল্যান্ড বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে, এমন কোনো প্রমাণ না মিললেও, দেশ দুটিকে বিদ্রোহীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।