কীভাবে এমন সহিংস হয়ে ওঠলো মিয়ানমার?
- আপডেট সময় : ০৫:২৩:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
বিদ্রোহীদের ঐক্যের কাছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অবস্থা এখন একেবারেই নাজুক। আরাকান আর্মি ও ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স-ওয়াইডিএফসহ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিরোধমূলক হামলা থেকে প্রাণ রক্ষায় দেশ ছেড়ে পাল্লাচ্ছে জান্তা সেনারা। কিন্তু হঠাৎ করেই কীভাবে এ পরিস্থিতি হলো। কেনই বা এতোটা সহিংস হয়ে ওঠলো মিয়ানমার?
জাতিগত উদ্দেশ্য ছাড়াও, হঠাৎ করে বিদ্রোহীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠার পেছনে অন্যতম একটি কারণ সামনে আনলো মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতী। যেখানে বলা হয় তিন মাস আগে দেশটির সামরিক বাহিনী দ্বারা নৃশংস হত্যার শিকার হয় ২০ বছর বয়সী ২ তরুণ। জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী হয়ে ওঠাই অপরাধ ছিল তাদের।
ঘটনার বর্ণনায় বলা হয় হত্যার আগে নির্যাতন চালিয়ে ওয়াইডিএফ’র ওই দুই সদস্যকে স্বীকার করতে বাধ্য করা হয় যে তারা ‘কুকুর’। এরপর তাদের একটি গাছে ঝুলিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। মাগওয়ে অঞ্চলের একটি গ্রামে ঘটে এমন বিভৎস ঘটনা। ওই সময়কার ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
জান্তা বিরোধী প্রতিরোধ গ্রুপ ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স- ওয়াইডিএফ বলেছে, এই হত্যা দেখতে গ্রামের প্রতিটি বাড়ি থেকে একজন করে ব্যক্তিকে ডেকে আনা হয়েছিলো। ২০২৩ সালের ৭ই নভেম্বরের সেই ঘটনার সঙ্গে জান্তা বাহিনী ছাড়াও তাদের মিত্র পিউ শয়ে হতি’র সদস্যরা যুক্ত ছিল।
ওয়াইডিএফ বলছে, বহুদিন আগে থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অমানবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আর এমন ঘটনা যাতে আগামীতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে একটি উপায় আছে। তা হলো ক্ষমতা থেকে সেনাবাহিনীর শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। সব মানুষকে বর্তমান প্রতিরোধ সফল না হওয়া পর্যন্ত নীরব না থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছে ওয়াইডিএফ।
গত ১৩ নভেম্বর থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ইতোমধ্যে রাখাইনে থাকা জান্তা বাহিনীর অন্তত ১৭০টি অবস্থান দখল করেছে তারা।