ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চীন উন্নয়ন সহযোগী, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্তের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, কিন্তু ভারতের সম্পর্ক রক্তের বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার ভারতের দিল্লির ‘ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অভ সাউথ এশিয়া’র সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের। অন্য যেকোনো দেশের সম্পর্কের সাথে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে তুলনা করা যায় না। তবে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অগ্রগতি বজায় রাখতে প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সাথেই সদ্ভাব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে ভারতীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবারও আমাদের দেশে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন আমাদের দেশে একটি উৎসব। ৭ জানুয়ারি আমাদের দেশে উৎসবের আমেজে নির্বাচন হয়েছে।’

এ সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০২১ সালে পর্তুগালে নির্বাচনে ২৯.৭ শতাংশ ভোট পড়ে। রোমানিয়ার নির্বাচনে ৩১.৮৪ শতাংশ এবং হংকংয়ের নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে। এ দেশগুলোতে কোনো বিরোধী দল ছিল না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ৫৭টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নির্বাচিত সরকারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে। জাতিসংঘসহ ২০টি আন্তর্জাতিক সংগঠন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়। কিন্তু, বরাবরই বিএনপি ও জামায়াত একে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু, বাংলাদেশের জনগণ সেসব অপচেষ্টা রুখে দেয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।’

বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। পারস্পরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বেশ কতগুলো উদ্যোগ নিয়েছেন, যার সুফল পাচ্ছে জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।’

একই দিন দুপুরে ভারতের নয়াদিল্লির বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনবিরোধী দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিলো, পাশে আছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কটি রক্তের বন্ধনের। অন্য যে কোনো দেশের সম্পর্কের সাথে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে এক করা যায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান বাংলাদেশ সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসার আবেদন করে। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। এটি দুই দেশের পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিচয়ই বহন করে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

চীন উন্নয়ন সহযোগী, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্তের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, কিন্তু ভারতের সম্পর্ক রক্তের বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার ভারতের দিল্লির ‘ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব অভ সাউথ এশিয়া’র সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী, কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের। অন্য যেকোনো দেশের সম্পর্কের সাথে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে তুলনা করা যায় না। তবে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অগ্রগতি বজায় রাখতে প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্রের সাথেই সদ্ভাব বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে ভারতীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবারও আমাদের দেশে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন আমাদের দেশে একটি উৎসব। ৭ জানুয়ারি আমাদের দেশে উৎসবের আমেজে নির্বাচন হয়েছে।’

এ সময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০২১ সালে পর্তুগালে নির্বাচনে ২৯.৭ শতাংশ ভোট পড়ে। রোমানিয়ার নির্বাচনে ৩১.৮৪ শতাংশ এবং হংকংয়ের নির্বাচনে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে। এ দেশগুলোতে কোনো বিরোধী দল ছিল না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ৫৭টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নির্বাচিত সরকারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে। জাতিসংঘসহ ২০টি আন্তর্জাতিক সংগঠন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের মতো বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হয়। কিন্তু, বরাবরই বিএনপি ও জামায়াত একে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করে। কিন্তু, বাংলাদেশের জনগণ সেসব অপচেষ্টা রুখে দেয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।’

বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। পারস্পরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বেশ কতগুলো উদ্যোগ নিয়েছেন, যার সুফল পাচ্ছে জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন সূচকে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।’

একই দিন দুপুরে ভারতের নয়াদিল্লির বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনবিরোধী দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিলো, পাশে আছে। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কটি রক্তের বন্ধনের। অন্য যে কোনো দেশের সম্পর্কের সাথে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে এক করা যায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান বাংলাদেশ সব সময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসার আবেদন করে। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। এটি দুই দেশের পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিচয়ই বহন করে।’