কারাগারগুলো বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা : রিজভী
- আপডেট সময় : ১১:০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪১৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। ৭ জানুয়ারির বিরোধী দলহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও কণ্টকমুক্ত করার জন্য গুম, খুন, গায়েবী মামলা, গ্রেপ্তার, হয়রানি ও বাড়িঘর ভাঙচুরের যে ভয়াবহতা চলছিল তা এখনো অব্যাহত রেখেছে একনায়ক ডামি সরকার। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থেমে নেই বিরোধী দল ও মতের ওপর বহুমাত্রিক জুলুম ও অমানবিক নিষ্ঠুরতা। দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। দেশের কারাগারগুলো বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে বাধা বিঘ্নতা দূর করতে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। আমরা চিন্তা ভাবনা করেই এই কাজ করেছি। তাদেরকে জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেত।’
কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধকর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা গেস্টাপোদের ন্যায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতরে কারাবিধির সমস্ত সুযোগ—সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।
ছাত্রলীগের সাবেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের কারা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শেখ হাসিনা কারাগারেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালাতে লেলিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ রিজভীর।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির ১৩ নেতার মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গতকাল বৃহস্পতিবার বিনা অপরাধে রংপুর কারাগারে বন্দি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী মহিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলামকে নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মনোয়ারুলের বাবা ফজলে রহমান ও ছোট ভাই হারুনসহ স্বজনরা বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি সুস্থ সবল মনোয়ারুলকে পুলিশ দিনের বেলায় বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেইদিন আদালতে চালান না দিয়ে পরের দিন রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রেখে বর্বরোচিত কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তার সমস্ত শরীরে, পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের গভীর চিহ্ন দেখা গেছে। পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে মনোয়ারুলকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। মনোয়ারুলসহ কারা হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছি।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১১ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও দাবি করেন রিজভী।