১১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপিএলে তৃতীয় জয় তুলে নিল সিলেট

দুই ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এই রান তাড়া করা কঠিন কিছু নয়। এবারের বিপিএলে সিলেটের পারফরম্যান্স হতশ্রী। আগের আট ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয়ের দেখা পায়। তবে, দিনের প্রথম ম্যাচে আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে সিলেট। রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ২৪ রান তুলে নিয়ে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় পায় দলটি।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। অধিনায়ক বিজয়ের ৬৭ ও হাবিবুর রহমান সোহানের ৪০ রানের সুবাদে ৩ উইকেটে ১৫৩ রান করে খুলনা। জবাবে হ্যারি টেক্টরের ৬১ ও রায়ার্ন বার্লের ১৬ বলে ৩২ রানের টর্নেডো ইনিংসে ৫ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সিলেট। এর ফলে ৯ ম্যাচে ৬ হার ও ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে সিলেট।

রান তাড়া করতে নেমে ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন সামিত প্যাটেল। দ্বিতীয় উইকেটে হ্যারি টেক্টর ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৬৫ রানে ১৬ বলে ১৮ রান করে মার্ক দেয়ালের বলে আউট হন শান্ত। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৯ বলে ২৪। তাকেও ফেরান দেয়াল।

তবে, শেষ দিকে দলকে টেনে তোলেন টেক্টর ও রায়ান বার্ল। ৫২ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রান করেন টেক্টর। তাকে ফেরান সুমন খান। তিনি সাজঘরে ফিরলেও বার্লের ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের সুবাস পায় সিলেট।

খুলনার পক্ষে চার ওভারে ১৯ রানে তিন উইকেট নেন দেয়াল। যদিও, দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নামা খুলনার উদ্বোধনী জুটিটা জমেনি। দলীয় ১৯ রানে আউট হন ওপেনার এভিন লুইস। ১০ বলে ১২ রান করে সামিত প্যাটেলের বলে আরিফুল হকের ক্যাচে পরিণত হন লুইস। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে নিয়ে দলের একটা ভিত তৈরি করেন বিজয়। ১৬ বলে ২৪ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংস খেলে বেনি হাওয়েলের বলে লেগ বিফোর হন আফিফ। এক রান করে দ্রুতই ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। তার উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম।

দলকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দিতে এরপর বাকি কাজ করেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক ও হাবিবুর রহমান সোহান। শুরুতে রয়ে-সয়ে খেললেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন দুজনেই। পরে ঝড় তুলে দুর্দান্ত ফিফটি করেন এনামুল। ৫৮ বলে ৬৭ রান করে অপরাজি থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান খুলনা অধিনায়ক। মাঝে ৬ বল খেলে মাত্র ১ রান করে উইকেট দিয়ে আসেন মাহমুদুল হাসান জয়।

এনামুল ও হাবিবুরের অপরাজিত জুটিতে ৬৭ বলে ৯৯ রান তোলে খুলনা। এটি এবারের বিপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। শেষ ৩ ওভারে ৫১ তোলেন তারা। হাবিবুর রহমান অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৪৩ রান করে। শেষ দিকে এই দুই ব্যাটারের ঝোড়ে ব্যাটিংয়ে ১৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় খুলনা।

সিলেটের পক্ষে একটি করে উইকেট পান প্যাটেল, হাওয়েল ও সানজামুল।

বিপিএলে তৃতীয় জয় তুলে নিল সিলেট

আপডেট : ০১:০৭:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দুই ওভারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এই রান তাড়া করা কঠিন কিছু নয়। এবারের বিপিএলে সিলেটের পারফরম্যান্স হতশ্রী। আগের আট ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয়ের দেখা পায়। তবে, দিনের প্রথম ম্যাচে আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে সিলেট। রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ২৪ রান তুলে নিয়ে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয় পায় দলটি।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। অধিনায়ক বিজয়ের ৬৭ ও হাবিবুর রহমান সোহানের ৪০ রানের সুবাদে ৩ উইকেটে ১৫৩ রান করে খুলনা। জবাবে হ্যারি টেক্টরের ৬১ ও রায়ার্ন বার্লের ১৬ বলে ৩২ রানের টর্নেডো ইনিংসে ৫ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় সিলেট। এর ফলে ৯ ম্যাচে ৬ হার ও ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে সিলেট।

রান তাড়া করতে নেমে ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন সামিত প্যাটেল। দ্বিতীয় উইকেটে হ্যারি টেক্টর ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৬৫ রানে ১৬ বলে ১৮ রান করে মার্ক দেয়ালের বলে আউট হন শান্ত। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৯ বলে ২৪। তাকেও ফেরান দেয়াল।

তবে, শেষ দিকে দলকে টেনে তোলেন টেক্টর ও রায়ান বার্ল। ৫২ বলে ছয় চার ও তিন ছক্কায় ৬১ রান করেন টেক্টর। তাকে ফেরান সুমন খান। তিনি সাজঘরে ফিরলেও বার্লের ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের সুবাস পায় সিলেট।

খুলনার পক্ষে চার ওভারে ১৯ রানে তিন উইকেট নেন দেয়াল। যদিও, দলের জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নামা খুলনার উদ্বোধনী জুটিটা জমেনি। দলীয় ১৯ রানে আউট হন ওপেনার এভিন লুইস। ১০ বলে ১২ রান করে সামিত প্যাটেলের বলে আরিফুল হকের ক্যাচে পরিণত হন লুইস। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে নিয়ে দলের একটা ভিত তৈরি করেন বিজয়। ১৬ বলে ২৪ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংস খেলে বেনি হাওয়েলের বলে লেগ বিফোর হন আফিফ। এক রান করে দ্রুতই ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। তার উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম।

দলকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দিতে এরপর বাকি কাজ করেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক ও হাবিবুর রহমান সোহান। শুরুতে রয়ে-সয়ে খেললেও আস্তে আস্তে খোলস ছেড়ে বের হন দুজনেই। পরে ঝড় তুলে দুর্দান্ত ফিফটি করেন এনামুল। ৫৮ বলে ৬৭ রান করে অপরাজি থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৫ বাউন্ডারি ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান খুলনা অধিনায়ক। মাঝে ৬ বল খেলে মাত্র ১ রান করে উইকেট দিয়ে আসেন মাহমুদুল হাসান জয়।

এনামুল ও হাবিবুরের অপরাজিত জুটিতে ৬৭ বলে ৯৯ রান তোলে খুলনা। এটি এবারের বিপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। শেষ ৩ ওভারে ৫১ তোলেন তারা। হাবিবুর রহমান অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৪৩ রান করে। শেষ দিকে এই দুই ব্যাটারের ঝোড়ে ব্যাটিংয়ে ১৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় খুলনা।

সিলেটের পক্ষে একটি করে উইকেট পান প্যাটেল, হাওয়েল ও সানজামুল।