ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টাঙ্গাইল শাড়ির পর মসলিনও নিতে চায় ভারত!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআইয়ে ভারতে অর্ধসত্য তথ্য ব্যবহার হয়েছে, উচিত মামলা করা: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এবার মসলিন শাড়ির দিকে নজর দিয়েছে ভারত। বাংলার মসলিন শাড়ির জিআই পেতে জার্নাল প্রকাশ করেছে দেশটি। এ বিষয়ে দ্রুত বাংলাদেশ থেকে আপত্তি জানানো উচিত বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

রাজধানীর সিপিডি কার্যালয়ে শনিবার সকালে ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিম বঙ্গের ভৌগলিক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে টাঙ্গাইল শাড়িকে দেশে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় আগামীতে আরও সমস্যা তৈরির আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ইতিমধ্যে বাংলার মসলিনকে জিআই পণ্য হিসেবে পেতে আবেদন করেছে ভারত, এ বিষয়ে বাংলাদেশকে দ্রুত আপত্তি জানাতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে এর কয়েকদিন পরই টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দেয় দেশের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর-ডিপিডিটি।

গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলছে, ৪ বছর ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ত্ব পেতে চেষ্টা করছে ভারত। এ নিয়ে দেশের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কেন অবগত ছিল না, তা প্রশ্নের বিষয়। ভারত অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে পণ্যটিকে জিআই হিসেবে ঘোষণা করেছে বলেও মন্তব্য করেন সংস্থার বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এজন্য ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনকে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইলের শাড়ির স্বত্ত্বের দাবিতে দ্রুত ভারতের আদালতে মামলা করা প্রয়োজন। এছাড়া ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে আলোচনা করার পরামর্শও তাঁর।

সিপিডি জানায়, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারত যাচ্ছে। এই পণ্য ভারতে উৎপাদন শুরু করলে দেশের তাঁতি ও মিলগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে মেধা সম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ সংস্থাটির।

নিউজটি শেয়ার করুন

টাঙ্গাইল শাড়ির পর মসলিনও নিতে চায় ভারত!

আপডেট সময় : ০২:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজেদের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর এবার মসলিন শাড়ির দিকে নজর দিয়েছে ভারত। বাংলার মসলিন শাড়ির জিআই পেতে জার্নাল প্রকাশ করেছে দেশটি। এ বিষয়ে দ্রুত বাংলাদেশ থেকে আপত্তি জানানো উচিত বলে মনে করছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

রাজধানীর সিপিডি কার্যালয়ে শনিবার সকালে ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিম বঙ্গের ভৌগলিক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সঠিক প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে টাঙ্গাইল শাড়িকে দেশে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করায় আগামীতে আরও সমস্যা তৈরির আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ইতিমধ্যে বাংলার মসলিনকে জিআই পণ্য হিসেবে পেতে আবেদন করেছে ভারত, এ বিষয়ে বাংলাদেশকে দ্রুত আপত্তি জানাতে হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে এর কয়েকদিন পরই টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দেয় দেশের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর-ডিপিডিটি।

গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলছে, ৪ বছর ধরে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ত্ব পেতে চেষ্টা করছে ভারত। এ নিয়ে দেশের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কেন অবগত ছিল না, তা প্রশ্নের বিষয়। ভারত অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে পণ্যটিকে জিআই হিসেবে ঘোষণা করেছে বলেও মন্তব্য করেন সংস্থার বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এজন্য ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনকে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টাঙ্গাইলের শাড়ির স্বত্ত্বের দাবিতে দ্রুত ভারতের আদালতে মামলা করা প্রয়োজন। এছাড়া ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে আলোচনা করার পরামর্শও তাঁর।

সিপিডি জানায়, ৫০ হাজার শাড়ি প্রতি সপ্তাহে ভারত যাচ্ছে। এই পণ্য ভারতে উৎপাদন শুরু করলে দেশের তাঁতি ও মিলগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে মেধা সম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ সংস্থাটির।