Dhaka ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারাগারে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে : রিজভী

কারাগারে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, মুক্তিপণ আদায়ের নামে নির্বাচনে নিতে বিএনপি নেতাদের জেলে নেয়া হয়েছে। কারাগারে সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হলেও তাদের মুক্তি নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার।

শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, একদফা আন্দোলন চলতে থাকবে। জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। শুধু বিএনপির ওপর হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আওয়ামী লীগের নিজেরাও খুনোখুনি করছে।

রিজভী বলেন, মুরগির বদলে মুরগির চামড়া ও ঠ্যাং কিনে খাচ্ছে। শুধু সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারণে এই ভরা মৌসুমে ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।

জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বেশ কয়েকবার বেআইনিভাবে গ্যাস—বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। সেখানেও মধ্যবৃত্তের ওপর চাপ বাড়ছে। হয়তো কিছুদিন পরে মধ্যবিত্ত ফুটপাতে চলে আসবে। অথচ সচিবরা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন মাসিক মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়।

রিজভী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ‌‘নির্বাচন অনিয়ম বা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, তার প্রমাণ কই’। যারা অপরাধ করে তারা নিজেদেরকে নিরাপরাধী ভাবে। প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনে জালিয়াতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ আপনি নিজেই। কারণ আপনার নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনের সচিব নিজেই বলেছেন যে, যারা জিতবে ডিসিদের কাছে তাদের তালিকা আগেই দেওয়া আছে, ঘোষণা দিয়ে দিলেই বাসায় গিয়ে ঘুমাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনার জালিয়াতির নির্বাচনের প্রমাণ কেবল আন্তর্জাতিকভাবেই উত্থাপিত হয়নি, দেশেও এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। শুধু তাই নয়, শূন্য ভোটকেন্দ্রে ছবি এবং ভিডিওই কেবল দেখা যায়নি, বিভিন্ন আসন থেকে প্রার্থীরা জালিয়াতি হচ্ছে বলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আপনার ভোট জালিয়াতির তথ্য আপনার দলের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। গতকাল তারাও আপনার সামনে বসেছিলেন। আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো লজ্জা পেয়েছেন।

কারাগারে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে : রিজভী

আপডেট : ০৮:৫৫:০৮ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কারাগারে নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, মুক্তিপণ আদায়ের নামে নির্বাচনে নিতে বিএনপি নেতাদের জেলে নেয়া হয়েছে। কারাগারে সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হলেও তাদের মুক্তি নিয়ে টালবাহানা করছে সরকার।

শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, একদফা আন্দোলন চলতে থাকবে। জনগণের আন্দোলন দমানো যাবে না। শুধু বিএনপির ওপর হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আওয়ামী লীগের নিজেরাও খুনোখুনি করছে।

রিজভী বলেন, মুরগির বদলে মুরগির চামড়া ও ঠ্যাং কিনে খাচ্ছে। শুধু সরকারি দলের সিন্ডিকেটের কারণে এই ভরা মৌসুমে ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।

জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বেশ কয়েকবার বেআইনিভাবে গ্যাস—বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে জ্যামিতিক হারে। বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। সেখানেও মধ্যবৃত্তের ওপর চাপ বাড়ছে। হয়তো কিছুদিন পরে মধ্যবিত্ত ফুটপাতে চলে আসবে। অথচ সচিবরা ডুপ্লেক্স বাড়িতে থাকেন মাসিক মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়।

রিজভী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ‌‘নির্বাচন অনিয়ম বা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি, তার প্রমাণ কই’। যারা অপরাধ করে তারা নিজেদেরকে নিরাপরাধী ভাবে। প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচনে জালিয়াতির সবচেয়ে বড় প্রমাণ আপনি নিজেই। কারণ আপনার নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনের সচিব নিজেই বলেছেন যে, যারা জিতবে ডিসিদের কাছে তাদের তালিকা আগেই দেওয়া আছে, ঘোষণা দিয়ে দিলেই বাসায় গিয়ে ঘুমাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী, আপনার জালিয়াতির নির্বাচনের প্রমাণ কেবল আন্তর্জাতিকভাবেই উত্থাপিত হয়নি, দেশেও এর ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে। শুধু তাই নয়, শূন্য ভোটকেন্দ্রে ছবি এবং ভিডিওই কেবল দেখা যায়নি, বিভিন্ন আসন থেকে প্রার্থীরা জালিয়াতি হচ্ছে বলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আপনার ভোট জালিয়াতির তথ্য আপনার দলের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। গতকাল তারাও আপনার সামনে বসেছিলেন। আপনার বক্তব্য শুনে তারা হয়তো লজ্জা পেয়েছেন।