০৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনিয়মে চলছে ইটভাটার ৩৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা

লাইসেন্স থাকুক বা না থাকুক, নানা অনিয়মে চলছে ইটভাটার ৩৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। আর এই ব্যবসার প্রধান কাঁচামাল মাটির বেশিরভাগ কৃষিজমি থেকে নেয়া হচ্ছে। অনিয়ম বন্ধে খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের পদক্ষেপ বিভিন্নভাবে থমকে যায়।

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা কিংবা মাঠ পরিদর্শক থেকে প্রশাসন সবাই নাকি টাকার কাছে বিক্রি। কিন্তু এতো এতো টাকা দিয়ে নাকি আগের মতো লাভ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই অনেক ইটভাটা বন্ধ করে দেবেন মালিকরা।

এদিকে প্রতি বছর ইটভাটায় প্রায় এক কোটি ইট পোড়ে। মাটি পায় কোথায়? ভাটার শ্রমিকরা বলেন, আমরা তো ঠিক জানি না।

এদিকে ইটভাটা পরিবেশবান্ধব করতে হাইকোর্টের ৭ নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই, বলছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশের ৫০ শতাংশের বেশি দূষণের জন্য দায়ী ইটভাটা। এর ফলে দেশের প্রতিটি মানুষ অন্তত ৪ বছর কম বাঁচেন।

পরিবেশবিদ আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট ৭টি নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু ইটভাটাগুলো যে অবস্থায় ছিলো, গাজীপুর ছাড়া দেশের সব জেলায় একই অবস্থা দেখছি। বায়ু দূষণের কারণে ঢাকার মানুষের গড় আয়ু ৮ বছর করে কমে যাচ্ছে।’

ইট ভাটায় ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা জানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেবে ১৩ কোটি টন কৃষি মাটি শুধু ইট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে হয়তো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। দেশে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ইটের প্রয়োজন হয়, আর এজন্য ১৩ কোটি টন মাটি ব্যবহার হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিজমির মাটি সবচেয়ে উর্বর। আর এই ভাটা যে পরিবেশের ক্ষতি করছে। ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে। সনাতন ইটভাটা বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা তৈরিতে প্রয়োজনে খাত সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দেবে সরকার।

অনিয়মে চলছে ইটভাটার ৩৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা

আপডেট : ০৭:২৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

লাইসেন্স থাকুক বা না থাকুক, নানা অনিয়মে চলছে ইটভাটার ৩৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। আর এই ব্যবসার প্রধান কাঁচামাল মাটির বেশিরভাগ কৃষিজমি থেকে নেয়া হচ্ছে। অনিয়ম বন্ধে খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের পদক্ষেপ বিভিন্নভাবে থমকে যায়।

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা কিংবা মাঠ পরিদর্শক থেকে প্রশাসন সবাই নাকি টাকার কাছে বিক্রি। কিন্তু এতো এতো টাকা দিয়ে নাকি আগের মতো লাভ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই অনেক ইটভাটা বন্ধ করে দেবেন মালিকরা।

এদিকে প্রতি বছর ইটভাটায় প্রায় এক কোটি ইট পোড়ে। মাটি পায় কোথায়? ভাটার শ্রমিকরা বলেন, আমরা তো ঠিক জানি না।

এদিকে ইটভাটা পরিবেশবান্ধব করতে হাইকোর্টের ৭ নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই, বলছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশের ৫০ শতাংশের বেশি দূষণের জন্য দায়ী ইটভাটা। এর ফলে দেশের প্রতিটি মানুষ অন্তত ৪ বছর কম বাঁচেন।

পরিবেশবিদ আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট ৭টি নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু ইটভাটাগুলো যে অবস্থায় ছিলো, গাজীপুর ছাড়া দেশের সব জেলায় একই অবস্থা দেখছি। বায়ু দূষণের কারণে ঢাকার মানুষের গড় আয়ু ৮ বছর করে কমে যাচ্ছে।’

ইট ভাটায় ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা জানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেবে ১৩ কোটি টন কৃষি মাটি শুধু ইট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে হয়তো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কাজকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। দেশে ৩ হাজার ৪০০ কোটি ইটের প্রয়োজন হয়, আর এজন্য ১৩ কোটি টন মাটি ব্যবহার হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিজমির মাটি সবচেয়ে উর্বর। আর এই ভাটা যে পরিবেশের ক্ষতি করছে। ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে। সনাতন ইটভাটা বন্ধ করে পরিবেশবান্ধব ইটভাটা তৈরিতে প্রয়োজনে খাত সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দেবে সরকার।