০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি

পাকিস্তানে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উস্কানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণ জমায়েতের জন্য উস্কানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গণজমায়েত বা সমাবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, ভোট চুরির অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। পরে সিদ্ধান্ত বদল করে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি দেয় দলটি। এর পরেই ইমরান খানের পিটিআইসহ কয়েকটি দলের বিক্ষোভ কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

এদিকে পাকিস্তানে নির্বাচনের তিন দিন পর রোববার (১১ জানুয়ারি) পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর পরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭ আসন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনো দল সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এ অবস্থায় সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০ আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০ নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।

এদিকে ৮৮, ১৮ ও ৯০ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি

আপডেট : ০৪:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উস্কানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণ জমায়েতের জন্য উস্কানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গণজমায়েত বা সমাবেশ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, ভোট চুরির অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। পরে সিদ্ধান্ত বদল করে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি দেয় দলটি। এর পরেই ইমরান খানের পিটিআইসহ কয়েকটি দলের বিক্ষোভ কর্মসূচির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

এদিকে পাকিস্তানে নির্বাচনের তিন দিন পর রোববার (১১ জানুয়ারি) পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর পরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪ ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭ আসন।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে (একটি স্থগিত) ভোট হয়েছে। একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার গঠনে প্রয়োজন হবে ১৩৪ আসন। ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কোনো দল সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। এ অবস্থায় সরকার গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০ আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০ নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।

এদিকে ৮৮, ১৮ ও ৯০ আসনের কয়েকটি কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।