গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২৮ হাজার। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা আছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ১১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে শনিবার ওই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় বিভিন্ন পরিবারের বিরুদ্ধে ১৬টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ১৫২ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন।’
আনাদোলু বলছে, ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অস্থায়ী রায় সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।