দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে পৌঁছে রূপকথার জন্ম দিয়েছিল জর্ডান। তবে ফাইনালে আর সেই রূপকথার পুনরাবৃত্তি করতে পারেনি আরবের দেশটি। তিন পেনাল্টিতে কাতারের কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেছে র্যাংকিংয়ে ৮৭ নম্বর দল। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বার এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতল স্বাগতিক দেশ কাতার।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে আকরাম আফিফের হ্যাটট্রিকে শ্রেষ্ঠত্ব অক্ষুণ্ণ রেখেছে কাতার। ফাইনালে ৩-১ গোলে হেরেছে জর্ডান। কাতারের তিন গোলের সবকটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন। শেষ বাঁশি বাজতেই মাঠেই সিজদাহ করেন আকরাম আফিফ। মেসির মতো তিনিও লুসাইলের মধ্যমণি, বর্ণীল কাতার! ঘরের মাঠে দর্শকেরাও ভেসেছে জয়োৎসবে। এশিয়ান কাপে ২০ বছর পর ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জয়ী দল কাতার।
সেমিতে উঠাই যারা ইতিহাস গড়েছিল, সেই জর্ডান লিখতে পারেনি রূপকথা। ভাগ্যটাকেও দায় দিতে পারে। কাতারের সবকটি গোলই পেনাল্টি থেকে। অথচ কি দারুণ শুরু, ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যেতে পারতো জর্ডান। শেষ চারে দক্ষিণ কোরিয়াকে থমকে দেয়া দলটি ফাইনালের মঞ্চেও দাপুটে। মিনিট বিশেক না যেতে ডি বক্সে ফাউলের শিকার আফিফ। স্পট কিকে স্বাগতিকদের লিড।
ঘুরে দাঁড়াতে সে-কি প্রাণপণ চেষ্টা জর্ডানের, বিরতির পর প্রতিপক্ষের রক্ষণ কাঁপিয়ে তুলে। বিফলে যায়নি শ্রম। আল নিয়ামের গোলে নীরবতা নেমে আসে লুসাইল স্টেডিয়ামে। কিন্তু তা ক্ষণিকের জন্য।
ছয় মিনিট পর আফিফের স্পট কিকে দ্বিতীয় গোল কাতারের। আর কি? দিনটা যে জর্ডানের নয়। যোগ করা সময়ে গোলকিপারের ভুল। পেনাল্টি থেকে প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন আকরাম আফিফ। টুর্নামেন্টে ৮ গোল দিয়ে হয়েছেন টপ স্কোরার। সেই সঙ্গে জাপান, সৌদি আরব, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পর পঞ্চম দল হিসেবে দ্বিতীয়বার এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন কাতার।