ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জাতিসংঘের অফিসের নিচে হামাসের টানেল, দাবি ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) অফিসের নিচে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের টানেল রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার ইসরায়েলি সেনাদের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত ১২ অক্টোবর থেকে তারা ওই অফিসে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এ নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীরাও অংশ নেন বলে দাবি করে ইসরায়েল। এমন অভিযোগের পর গতমাসে সংস্থাটির বেশ কয়েকজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা সিটিতে সম্প্রতি চালানো অভিযানে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাটির পরিচালিত একটি স্কুলের কাছে সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে।

এই সুড়ঙ্গটি হামাসের গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। গাজা উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান সদর দপ্তরের নিচেও ওই সুড়ঙ্গের বিস্তৃতি ছিল। টানেলের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো ৭০০ মিটার দীর্ঘ এবং ১৮ মিটার গভীর যা সংস্থাটির সদর দপ্তরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের সংস্থাটির কম্পাউন্ডে থাকা নথি এবং অস্ত্রের মজুত নিশ্চিত করেছে যে কার্যালয়টি আসলে হামাস ব্যবহার করেছিল।

এদিকে পাল্টা আরেকটি বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএর পক্ষ থেকে বলা হয় , ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের অফিসটি সর্বশেষ পরিদর্শন করা হয়েছিল। এছাড়া এর আগে ইউএনআরডব্লিউএর অফিসের কাছাকাছি বা নিচে পাওয়া যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ আগে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল এবং প্রকাশ্যেও আনা হয়েছিল।

ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশনা মেনে তাদের কর্মীরা গাজা শহর ত্যাগ করেছে। আর তারা ওই অফিস গত ১২ অক্টোবর থেকে আর ব্যবহার করছে না। আর অফিসের নিচে টানেল পাওয়ার ঘটনাটিও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ইসরায়েল।

জাতিসংঘ ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে দুটি পৃথক তদন্ত শুরু করেছে। প্রথমটি ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে তাদের কর্মীদের হামলার বিষয়ে এবং অন্যটি সংস্থাটির সামগ্রিক রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘের অফিসের নিচে হামাসের টানেল, দাবি ইসরায়েলের

আপডেট সময় : ০৭:০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) অফিসের নিচে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের টানেল রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার ইসরায়েলি সেনাদের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত ১২ অক্টোবর থেকে তারা ওই অফিসে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এ নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীরাও অংশ নেন বলে দাবি করে ইসরায়েল। এমন অভিযোগের পর গতমাসে সংস্থাটির বেশ কয়েকজন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা সিটিতে সম্প্রতি চালানো অভিযানে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাটির পরিচালিত একটি স্কুলের কাছে সুড়ঙ্গ পাওয়া গেছে।

এই সুড়ঙ্গটি হামাসের গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। গাজা উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর প্রধান সদর দপ্তরের নিচেও ওই সুড়ঙ্গের বিস্তৃতি ছিল। টানেলের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো ৭০০ মিটার দীর্ঘ এবং ১৮ মিটার গভীর যা সংস্থাটির সদর দপ্তরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের সংস্থাটির কম্পাউন্ডে থাকা নথি এবং অস্ত্রের মজুত নিশ্চিত করেছে যে কার্যালয়টি আসলে হামাস ব্যবহার করেছিল।

এদিকে পাল্টা আরেকটি বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএর পক্ষ থেকে বলা হয় , ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাদের অফিসটি সর্বশেষ পরিদর্শন করা হয়েছিল। এছাড়া এর আগে ইউএনআরডব্লিউএর অফিসের কাছাকাছি বা নিচে পাওয়া যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ আগে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল এবং প্রকাশ্যেও আনা হয়েছিল।

ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশনা মেনে তাদের কর্মীরা গাজা শহর ত্যাগ করেছে। আর তারা ওই অফিস গত ১২ অক্টোবর থেকে আর ব্যবহার করছে না। আর অফিসের নিচে টানেল পাওয়ার ঘটনাটিও আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ইসরায়েল।

জাতিসংঘ ইউএনআরডব্লিউএ নিয়ে দুটি পৃথক তদন্ত শুরু করেছে। প্রথমটি ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে তাদের কর্মীদের হামলার বিষয়ে এবং অন্যটি সংস্থাটির সামগ্রিক রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে।