০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে ইমরানপন্থীদের জয়জয়কার

পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদ নির্বাচনে সব আসনের ফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসিপির সবশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বাধিক ১০১টি আসনে জয় পেয়েছেন। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৬টি আসন। নওয়াজ শরিফের পিএমএল–এন পেয়েছে ৭৫টি আসন। পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন। এ ছাড়া করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) পার্টি পেয়েছে ১৭টি আসন। অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।

পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব লেজিসলেটিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সির (পিআইএলডিএটি) সভাপতি আহমেদ বিলাল মেহবুব বলেছেন, পিএমএল-এন বা পিপিপির মতো বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জোট গঠন না করে স্পষ্টতই পিটিআই সরকার গঠনের মতো অবস্থানে নেই। কারণ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন তারা পায়নি।

সংরক্ষিত আসনের হিসাব আপাতত বাদ দিলে পাকিস্তানে সরকার গঠন করার জন্য কোনও দলকে ন্যূনতম ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যে ২৫৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে কোনও দলই এককভাবে এতো বিপুল সংখ্যক আসন পায়নি।

পাকিস্তানের সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জানাতে হবে, তারা কোনও দলে যোগ দেবেন নাকি স্বতন্ত্র হিসাবেই থাকবেন।

এমন অবস্থায় পিটিআই-অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন-পরবর্তী তিন দিনের সময়ের মধ্যে পিটিআইতে আবারও যোগ দিতে চাইলে কী হবে? আহমেদ বিলাল মেহবুব বলেছেন, এটা সম্ভব। তবে মেহবুব ব্যাখ্যা করেছেন, এটি তাদের জন্য বেশ দীর্ঘ একটি পথ হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যে দলে যোগ দিতে চান তাদের অবশ্যই একটি দলীয় প্রতীক থাকতে হবে, আর এটি বাধ্যতামূলক।

তাই তিনি বলেন, তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থীরা) আবার পিটিআইতে যোগ দিতে চাইলে পিটিআইকে আন্তঃদলীয় নির্বাচন করতে হবে এবং তাদের প্রতীক বা অন্য কোনও প্রতীক ফিরে পেতে হবে। আর এটি হলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংরক্ষিত আসনও পাবে পিটিআই।

তবে তিনি বলেন, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা কোনও দলে যোগ না দিলেও তারা জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ পেতে পারেন। এর জন্য তাদের জাতীয় পরিষদের স্পিকারের কাছে একটি আবেদন জমা দিতে হবে যে, তারা তাদের মনোনীত কোন একজন প্রার্থীকে সমর্থন করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ২৬৬টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি আসনে ভোট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঞ্জাবের অন্য একটি আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে ফল ঘোষণা করা হয়েছে ২৬৪টি আসনের।

গত তিন দিন ধরে এ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছিল ইসিপি। ভোটের ফলাফলে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪টি আসন। এখন জোট গঠন ছাড়া সরকার গঠন করার উপায় নেই।

আল জাজিরা বলেছে, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।

পাকিস্তানে ইমরানপন্থীদের জয়জয়কার

আপডেট : ০৮:৪২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানে সাধারণ পরিষদ নির্বাচনে সব আসনের ফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসিপির সবশেষ ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বাধিক ১০১টি আসনে জয় পেয়েছেন। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৬টি আসন। নওয়াজ শরিফের পিএমএল–এন পেয়েছে ৭৫টি আসন। পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন। এ ছাড়া করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) পার্টি পেয়েছে ১৭টি আসন। অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন।

পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব লেজিসলেটিভ ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সির (পিআইএলডিএটি) সভাপতি আহমেদ বিলাল মেহবুব বলেছেন, পিএমএল-এন বা পিপিপির মতো বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জোট গঠন না করে স্পষ্টতই পিটিআই সরকার গঠনের মতো অবস্থানে নেই। কারণ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন তারা পায়নি।

সংরক্ষিত আসনের হিসাব আপাতত বাদ দিলে পাকিস্তানে সরকার গঠন করার জন্য কোনও দলকে ন্যূনতম ১৩৪টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। কিন্তু দেশটির নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যে ২৫৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে কোনও দলই এককভাবে এতো বিপুল সংখ্যক আসন পায়নি।

পাকিস্তানের সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জানাতে হবে, তারা কোনও দলে যোগ দেবেন নাকি স্বতন্ত্র হিসাবেই থাকবেন।

এমন অবস্থায় পিটিআই-অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন-পরবর্তী তিন দিনের সময়ের মধ্যে পিটিআইতে আবারও যোগ দিতে চাইলে কী হবে? আহমেদ বিলাল মেহবুব বলেছেন, এটা সম্ভব। তবে মেহবুব ব্যাখ্যা করেছেন, এটি তাদের জন্য বেশ দীর্ঘ একটি পথ হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যে দলে যোগ দিতে চান তাদের অবশ্যই একটি দলীয় প্রতীক থাকতে হবে, আর এটি বাধ্যতামূলক।

তাই তিনি বলেন, তারা (স্বতন্ত্র প্রার্থীরা) আবার পিটিআইতে যোগ দিতে চাইলে পিটিআইকে আন্তঃদলীয় নির্বাচন করতে হবে এবং তাদের প্রতীক বা অন্য কোনও প্রতীক ফিরে পেতে হবে। আর এটি হলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংরক্ষিত আসনও পাবে পিটিআই।

তবে তিনি বলেন, পিটিআই-সমর্থিত প্রার্থীরা কোনও দলে যোগ না দিলেও তারা জাতীয় পরিষদে বিরোধী দলীয় নেতার পদ পেতে পারেন। এর জন্য তাদের জাতীয় পরিষদের স্পিকারের কাছে একটি আবেদন জমা দিতে হবে যে, তারা তাদের মনোনীত কোন একজন প্রার্থীকে সমর্থন করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ২৬৬টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি আসনে ভোট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঞ্জাবের অন্য একটি আসনের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। এ কারণে ফল ঘোষণা করা হয়েছে ২৬৪টি আসনের।

গত তিন দিন ধরে এ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছিল ইসিপি। ভোটের ফলাফলে শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৪টি আসন। এখন জোট গঠন ছাড়া সরকার গঠন করার উপায় নেই।

আল জাজিরা বলেছে, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ৩৩৬। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। এ ছাড়া বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এসব আসনের মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি সংখ্যালঘুদের।