ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীকে 'উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষকে আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধের আহ্বান জানিয়েছেন :::: ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইস্তাম্বুলে বলেছেন যে তিনি রবিবার বিকেলে মস্কো যাবেন এবং মার্কিন হামলার পরে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে সাক্ষাত করবেন :::: ইরানের ওপর মার্কিন হামলার পর 'সংযম' প্রদর্শনের আহ্বান সৌদি আরবের :::: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় মার্কিন বোমা হামলায় পরিস্থিতির অবনতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে কাতার :::: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ওমান, যুদ্ধের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে

সমুদ্র ও আকাশ পথে রাফায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৬০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ‘নিরাপদ স্থান’ রাফায় রাতভর বিমান হামলার পাশাপাশি সমুদ্র পথেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। এ হামলায় ৬০ জনের বেশী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর নাগাদ ইসরায়েলি হামলায় ১৪ আবাসিক ভবন ও ৩টি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরএস) জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাহতে গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অবস্থান করছে। সেখানে সোমবার রাতে যুদ্ধবিমানের দ্বারা তীব্র বিমান হামলার স্বীকার হয়েছেন তারা। এতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান ব্যবহার করে রাফহার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গুলি ছুড়েছে। অবরুদ্ধ ও ছোট্ট গাজা উপত্যকার রাফাহর সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে।

রাফাহর আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, “দখলদারদের বোমা হামলায় এত মানুষ হতাহত হয়েছেন যে আমরা তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।”

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের চালানো নতুন হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

গাজার সর্ব দক্ষিণের শহর রাফায় অভিযান চালালে জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা হুমকিতে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস। হামাসের এক শীর্ষ নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, রাফা শহরে দখলদার সেনাবাহিনীর যেকোনো হামলা বন্দিবিনিময় আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’ এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় চলমান অভিযান রাফা পর্যন্ত বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং মানবিক সংস্থাগুলো গাজার বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গাজার অর্ধেকের বেশি মানুষই অর্থাৎ প্রায় ১৪ লাখ মানুষ রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। জনাকীর্ণ রাফায় তাদের ঠাঁই হয়েছে তাঁবুর ভেতর বা বাইরে। সেখানে দিন দিন খাবার, পানি ও চিকিৎসাসংকট প্রকট আকার ধারণ করছে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো নেতানিয়াহুকে হুশিয়ারি দিয়েছে, বেসামরিকরা রাফাহতে থাকা অবস্থায় যেন কোনো ধরনের হামলা না চালানো হয়। তবে তাদের তোয়াক্কা না করে সোমবার রাতে সাধারণ মানুষে গিজগিজ করা অঞ্চলটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসলায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা ও সিএনএন

নিউজটি শেয়ার করুন

সমুদ্র ও আকাশ পথে রাফায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৬০

আপডেট সময় : ০৬:৩৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ‘নিরাপদ স্থান’ রাফায় রাতভর বিমান হামলার পাশাপাশি সমুদ্র পথেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। এ হামলায় ৬০ জনের বেশী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর নাগাদ ইসরায়েলি হামলায় ১৪ আবাসিক ভবন ও ৩টি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিসিআরএস) জানিয়েছে, বর্তমানে রাফাহতে গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অবস্থান করছে। সেখানে সোমবার রাতে যুদ্ধবিমানের দ্বারা তীব্র বিমান হামলার স্বীকার হয়েছেন তারা। এতে ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান ব্যবহার করে রাফহার সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গুলি ছুড়েছে। অবরুদ্ধ ও ছোট্ট গাজা উপত্যকার রাফাহর সঙ্গে মিসরের সীমান্ত রয়েছে।

রাফাহর আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, “দখলদারদের বোমা হামলায় এত মানুষ হতাহত হয়েছেন যে আমরা তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।”

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের চালানো নতুন হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

গাজার সর্ব দক্ষিণের শহর রাফায় অভিযান চালালে জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা হুমকিতে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস। হামাসের এক শীর্ষ নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, রাফা শহরে দখলদার সেনাবাহিনীর যেকোনো হামলা বন্দিবিনিময় আলোচনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।’ এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় চলমান অভিযান রাফা পর্যন্ত বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং মানবিক সংস্থাগুলো গাজার বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গাজার অর্ধেকের বেশি মানুষই অর্থাৎ প্রায় ১৪ লাখ মানুষ রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। জনাকীর্ণ রাফায় তাদের ঠাঁই হয়েছে তাঁবুর ভেতর বা বাইরে। সেখানে দিন দিন খাবার, পানি ও চিকিৎসাসংকট প্রকট আকার ধারণ করছে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো নেতানিয়াহুকে হুশিয়ারি দিয়েছে, বেসামরিকরা রাফাহতে থাকা অবস্থায় যেন কোনো ধরনের হামলা না চালানো হয়। তবে তাদের তোয়াক্কা না করে সোমবার রাতে সাধারণ মানুষে গিজগিজ করা অঞ্চলটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসলায়েল। হামলায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা ও সিএনএন