তেল আবিবের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা
- আপডেট সময় : ১০:৫০:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৪০১ বার পড়া হয়েছে
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সিরিয়া সফরের একদিনের মাথায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত তারা। ঘনিষ্ট মিত্র সিরিয়ার সঙ্গে সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতা জোরদারের উদ্দেশ্যে শনিবার দামেস্কে পৌঁছান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান সিরিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ। এরপর দিন রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তেল আবিবের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেন মিকদাদ।
সিরিয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিজ ভূখণ্ড রক্ষায় ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনো ধরনের যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সিরিয়া। গতকাল রোববার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মাহের নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মিকদাদ এমন এক সময়ে যুদ্ধের বার্তা দিলেন, যখন গাজা সংকট ইতোমধ্যে রাফাহ সীমান্তে বিস্তৃত হয়ে লেবানন ও লোহিত সাগর অঞ্চলে ছড়িয়ে গেছে। তার এই মন্তব্য এই অঞ্চলে ইসরায়েল ও তার ঘনিষ্ট পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাকেই উসকে দিয়েছে।
এর আগে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে দামেস্কে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের যৌথভাবে সহায়তা দেয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন। বৈঠকে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ ফিলিস্তিনের অধিকৃত জায়গায় ১৯৪৮ সালে যখন ইসরায়েল নামের ইহুদিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জন্য পশ্চিমারা সক্রিয় ছিল তখন থেকেই দেশটির অস্তিত্বের বিরোধিতা করে আসছে দামেস্কো। সিরিয়া সব সময়ই ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের বিরোধিতা করে আসছে। এবং সিরিয়া দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের মূলেই রয়েছে ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রের অস্তিত্ব।’
এ সময় ইসরায়েলের দখলে থাকা সিরিয়ার ভূখণ্ড গোলান মালভূমির গুরুত্ব তুলে ধরে ফয়সাল মিকদাদ বলেন, ‘সিরিয়া ইসরায়েলি দখলদারত্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। তবে কখন এবং কীভাবে যুদ্ধ করা হবে সে বিষয়ে যথাসময়ে সিদ্ধান্ত খোলাসা করা হবে।’
গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় এখন পর্যন্ত গত চার মাসে ২৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।