১১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জোট গঠনের পথে নওয়াজ-বিলাওয়াল

নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতি। নাটকের শেষ দৃশ্য মঞ্চায়নে এবার সরকার গঠনে একজোট হচ্ছে নওয়াজ শরীফ ও বিলওয়াল ভূট্টোর দল।

দল দুটির মধ্যে জোট সরকার নিয়ে বৈঠকের খবর গত শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসতে থাকে। তবে গতকাল দল দুটি প্রথমবারের মতো লাহোরে আনুষ্ঠিক বৈঠকে বসে। পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জোট সরকার গঠনে বিলাওয়াল ও আসিফের সহযোগিতা চান শাহবাজ। দুই দলের নেতাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আলোচনা হয়।

পিপিপি বলেছে, খুব শিগগিরই দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। যেখানে জোট গঠনের প্রক্রিয়া, প্রেসিডেন্ট পদটি কে পাবেন, এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর আসার পর এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে, জোট সরকার হয়েই পাকিস্তানের ক্ষমতার মসনদে বসতে যাচ্ছেন তারা।

তবে গুঞ্জন আসছে বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করার শর্তেই জোট সরকার গঠনের দিকে আগাবে পিপিপি। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ও চায় পিপিপি। তাই জোট গঠনের ঘোষণা আসলেও সেটির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এর আগে শুক্রবার নওয়াজ শরীফ পাকিস্তানকে বাঁচাতে সকল দলকে একটি জোট হয়ে সরকার গঠনের আহ্বান জানান। দলের নেতাকর্মীদের সামনে দেয়া এক ভাষণে নওয়াজ দাবি করেন, তার দলই নির্বাচনে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অন্য দলগুলোর অবস্থানকে সম্মান করি। তাই আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সমৃদ্ধ পাকিস্তান গঠনে সবার সহযোগিতা চেয়ে আলোচনার ডাক দেন তিনি।

এমন অবস্থায় আবার নড়েচড়ে বসেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও টিভির সূত্রে জানানো হয়, পিটিআই এর বিপুল সংখ্যক অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ের পর এবার রাজনৈতিক অন্যান্য দলগুলোর সাথে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। তবে পিএমএল-এন কিংবা পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি পিটিআই। এর পাশাপাশি বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। তবে ধীরে ধীরে মাঠের কর্মসূচিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে পিটিআই কর্মী সমর্থকেরা। ইতোমধ্যে পাঞ্জাবের চকওয়ালের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করায় পিটিআই সমর্থিত দুই প্রার্থী ও তাদের ৩০০ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ফলে সমগ্র পাঞ্জাবেই বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছে পিটিআই।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ২৬৪ আসনের ঘোষিত ফলাফলে স্বতন্ত্ররা ১০১টিতে জয় নিয়ে এগিয়ে আছেন। যাদের প্রায় সবাই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত।

জোট গঠনের পথে নওয়াজ-বিলাওয়াল

আপডেট : ১০:৫৩:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতি। নাটকের শেষ দৃশ্য মঞ্চায়নে এবার সরকার গঠনে একজোট হচ্ছে নওয়াজ শরীফ ও বিলওয়াল ভূট্টোর দল।

দল দুটির মধ্যে জোট সরকার নিয়ে বৈঠকের খবর গত শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসতে থাকে। তবে গতকাল দল দুটি প্রথমবারের মতো লাহোরে আনুষ্ঠিক বৈঠকে বসে। পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল, পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জোট সরকার গঠনে বিলাওয়াল ও আসিফের সহযোগিতা চান শাহবাজ। দুই দলের নেতাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আলোচনা হয়।

পিপিপি বলেছে, খুব শিগগিরই দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হবে। যেখানে জোট গঠনের প্রক্রিয়া, প্রেসিডেন্ট পদটি কে পাবেন, এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর আসার পর এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে, জোট সরকার হয়েই পাকিস্তানের ক্ষমতার মসনদে বসতে যাচ্ছেন তারা।

তবে গুঞ্জন আসছে বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী করার শর্তেই জোট সরকার গঠনের দিকে আগাবে পিপিপি। এছাড়া, গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয়ও চায় পিপিপি। তাই জোট গঠনের ঘোষণা আসলেও সেটির বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এর আগে শুক্রবার নওয়াজ শরীফ পাকিস্তানকে বাঁচাতে সকল দলকে একটি জোট হয়ে সরকার গঠনের আহ্বান জানান। দলের নেতাকর্মীদের সামনে দেয়া এক ভাষণে নওয়াজ দাবি করেন, তার দলই নির্বাচনে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অন্য দলগুলোর অবস্থানকে সম্মান করি। তাই আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সমৃদ্ধ পাকিস্তান গঠনে সবার সহযোগিতা চেয়ে আলোচনার ডাক দেন তিনি।

এমন অবস্থায় আবার নড়েচড়ে বসেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও টিভির সূত্রে জানানো হয়, পিটিআই এর বিপুল সংখ্যক অনুমোদিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিজয়ের পর এবার রাজনৈতিক অন্যান্য দলগুলোর সাথে জোট গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে একটি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। তবে পিএমএল-এন কিংবা পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি পিটিআই। এর পাশাপাশি বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে দলটি। তবে ধীরে ধীরে মাঠের কর্মসূচিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে পিটিআই কর্মী সমর্থকেরা। ইতোমধ্যে পাঞ্জাবের চকওয়ালের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করায় পিটিআই সমর্থিত দুই প্রার্থী ও তাদের ৩০০ সমর্থকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ফলে সমগ্র পাঞ্জাবেই বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছে পিটিআই।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। ২৬৪ আসনের ঘোষিত ফলাফলে স্বতন্ত্ররা ১০১টিতে জয় নিয়ে এগিয়ে আছেন। যাদের প্রায় সবাই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত।