রাজধানী ঢাকার রামপুরা বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭২০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা। মাস খানেক আগেও এই দাম ৭০০ টাকার নিচে ছিল। গরুর মাংস কেনার সময় রুহুল আমিন বলছিলেন, ‘মাংস বিক্রেতারা খেলা দেখাচ্ছেন। আমরা দেখছি। দাম কমিয়ে আবার এত দ্রুত সময়ের মধ্যে দাম বাড়ানো কেন, এর উত্তর কে দেবে।’
তিনি বলছিলেন, পণ্যের দাম বাড়তেই পারে। কিন্তু কেন বাড়ল এটা সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কেউ বলতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা ফোনে–ফোনে ঠিক করেন আজ তারা কত দাম নেবেন। ক্রেতাদের দেখার যেন কেউ নেই।
চলতি বছরের শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। তবে এই দাম বাড়ার পেছনে সুস্পষ্ট কোনো কারণ দেখাতে পারছেন না বিক্রেতারা। জানুয়ারির শুরুতে ৬৫০ টাকা কেজির মাংস হয়ে যায় ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। এখন ৭৫০ টাকা। গত দুই মাসে বলা যায় কেজিতে দেড় শ টাকার মতো দাম বেড়েছে।
গত বছরের অক্টোবর–নভেম্বরে গরুর মাংস রাজধানীতে সবচেয়ে কম দামে অর্থাৎ সাড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। নভেম্বরেরর শেষে এসে এই দাম সাড়ে ৬০০ টাকা নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীরা। এখন অবশ্য আর কেউ দাম নির্ধারণ করছে না। দাম বেড়েই চলেছে।
রামপুরা ছাড়াও মগবাজার, মোহাম্মদপুর, হাতিরপুল বাজারে গরুর মাংস গত দুই দিন ধরে সাড়ে ৭০০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরকারি সংস্থা টিসিবি বলছে, ঢাকার বাজারে মানভেদে গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতা মো. জসিম বললেন, এখন গরুর দাম বেশি। খামারগুলোতে গরু স্টক করা হচ্ছে। সামনে শবে বরাত। এরপর রোজার ঈদ। তারপরই কোরবানির ঈদ। ফলে চাহিদা প্রচুর থাকবে। এ কারণে দাম বাড়বে। এই দাম আর কমবে তো না–ই।
একজন ক্রেতা তৌফিকুল ইসলাম বলছিলেন, তিনি কয়েক মাস ধরেই গরুর মাংস ৭০০ টাকার নিচে কিনেছেন। কিন্তু কিছুদিন ধরে আর এই দাম পাচ্ছেন না। এখন কমপক্ষে ৭২০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। মূলত দাম সাড়ে ৭০০ টাকা প্রতিকেজি।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলছিলেন, গরু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই মাংসের দামও বেড়েছে। আগামী কোরবানি ঈদ পর্যন্ত খামার মালিকেরা বেশি দামেই গরুর বিক্রি করবেন। ফলে দামও বেশি থাকবে।