ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মিয়ানমারের সেনারা ফিরবেন দু–এক দিনে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও সেনা সদস্যদের জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানিয়েছি তাদেরকে ফেরত নেওয়ার জন্য। আমার মনে হয় তারা জাহাজে করে অতিশিগগিরউ ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের কাছে সেই ধরনেরই বার্তা পাঠিয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বিরোধ নেই। যারা এখন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন তারা জীবন বাঁচাতেই আসছেন।

দেশে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নতুন করে অনুপ্রবেশ করে তাদেরকে স্থায়ীভাবে আর থাকতে দেওয়া হবে না।’

যেসব সেনা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তারা মিয়ানমারে গণহত্যায় জড়িত কিনা, তা জানা নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ফেরত পাঠানোই সরকারের মূল লক্ষ্য।’

কক্সবাজারের পালংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কোয়াইনচি বং ও রাইমনখালীতে সোমবার রাত থেকে সংঘর্ষ চলছে। ভেসে আসছে ভারী গোলার শব্দ। মঙ্গলবার দুপুরে সেসব এলাকায় দেখা গেছে তীব্র ধোঁয়া। স্থানীয়দের ধারণা, মিয়ানমার সেনাদের ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করেছে আরাকান আর্মি। এতে নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে সীমান্ত এলাকায়।

বান্দরবান ঘুমধুম ও তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে টানা ১১ দিন গোলাগুলির পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে যে কোনো সময় আবারও সংঘর্ষ বাধার শঙ্কায় সীমান্তের মানুষ।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মাঝে নাফ নদী পার হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি এই দুই সংস্থার কর্মকর্তারা।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে হাইওয়ে পুলিশ বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলো। আমি তাদের বিরোধী দল বলবো না। কারণ সংসদে তাদের অস্তিত্ব নাই। আমি বলবো, একটি দল যারা ষড়যন্ত্র ও পেশি শক্তিতে বিশ্বাস করে। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়ক তথা লাইফলাইনগুলো সচল রেখেছে। সক্ষমতার সঙ্গে দেশের পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রেখেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে এশিয়ান হাইওয়ে করিডোরের কার্যক্রম চলমান। ১০০টির বেশি ইকোনমিক জোন, বন্দরের সড়ক নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। কারণ যাতায়াত ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাইওয়ে পুলিশ সক্ষমতার সঙ্গে কাজ করছে বলেই আমরা নিরাপদ সড়ক পাচ্ছি। তবে সড়কে ২-১টি ঘটনা যে ঘটছে না, এমন নয়। খুব শিগগিরই আমরা সমস্যাগুলো ওভারকাম করতে পারবো।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমারের সেনারা ফিরবেন দু–এক দিনে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:১৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও সেনা সদস্যদের জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জানিয়েছি তাদেরকে ফেরত নেওয়ার জন্য। আমার মনে হয় তারা জাহাজে করে অতিশিগগিরউ ফেরত নিয়ে যাবে। আমাদের কাছে সেই ধরনেরই বার্তা পাঠিয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো বিরোধ নেই। যারা এখন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন তারা জীবন বাঁচাতেই আসছেন।

দেশে নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নতুন করে অনুপ্রবেশ করে তাদেরকে স্থায়ীভাবে আর থাকতে দেওয়া হবে না।’

যেসব সেনা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তারা মিয়ানমারে গণহত্যায় জড়িত কিনা, তা জানা নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের ফেরত পাঠানোই সরকারের মূল লক্ষ্য।’

কক্সবাজারের পালংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের কোয়াইনচি বং ও রাইমনখালীতে সোমবার রাত থেকে সংঘর্ষ চলছে। ভেসে আসছে ভারী গোলার শব্দ। মঙ্গলবার দুপুরে সেসব এলাকায় দেখা গেছে তীব্র ধোঁয়া। স্থানীয়দের ধারণা, মিয়ানমার সেনাদের ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করেছে আরাকান আর্মি। এতে নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে সীমান্ত এলাকায়।

বান্দরবান ঘুমধুম ও তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে টানা ১১ দিন গোলাগুলির পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে যে কোনো সময় আবারও সংঘর্ষ বাধার শঙ্কায় সীমান্তের মানুষ।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মাঝে নাফ নদী পার হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি এই দুই সংস্থার কর্মকর্তারা।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে হাইওয়ে পুলিশ বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছিলো। আমি তাদের বিরোধী দল বলবো না। কারণ সংসদে তাদের অস্তিত্ব নাই। আমি বলবো, একটি দল যারা ষড়যন্ত্র ও পেশি শক্তিতে বিশ্বাস করে। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়ক তথা লাইফলাইনগুলো সচল রেখেছে। সক্ষমতার সঙ্গে দেশের পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রেখেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে এশিয়ান হাইওয়ে করিডোরের কার্যক্রম চলমান। ১০০টির বেশি ইকোনমিক জোন, বন্দরের সড়ক নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা যা করা দরকার আমরা করবো। কারণ যাতায়াত ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হাইওয়ে পুলিশ সক্ষমতার সঙ্গে কাজ করছে বলেই আমরা নিরাপদ সড়ক পাচ্ছি। তবে সড়কে ২-১টি ঘটনা যে ঘটছে না, এমন নয়। খুব শিগগিরই আমরা সমস্যাগুলো ওভারকাম করতে পারবো।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রমুখ।