ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চরম অন্ধকারে এখন বাংলাদেশ: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চরম অন্ধকারে এখন বাংলাদেশ। ভয়াবহ এক নৈরাজ্য চলছে দেশে, তামাশা চলছে দেশের নাগরিকদের সঙ্গে।

আজ বুধবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ সরকার পতনের দাবিতে আজও সারাদেশে মহানগরে গণসংযোগ ও ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

রিজভী বলেন, সরকারের লুটপাটের রাজনীতির কারণে সারাদেশে এখন সামাজিক নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে। সেই সাথে ছাত্রলীগ শুধু বিএনপির উপর আক্রমণ করছেনা লুটের টাকা ভাগাভাগি করতে নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসময় রিজভী আরও বলেন, বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো যে আন্দোলন করছে যে লড়াই করছে সেটি নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, সেটি হলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই, জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার লড়াই। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।

রিজভী আরও বলেন, ‘আপনারা দেখছেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে। তামাশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। আর গতকাল বাংলাদেশের তিনটি ছাগল নাকি তাদের সীমানার ভেতরে গেছে, সে তিনটি ছাগল ধরে পতাকা বৈঠক করে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএসএফের কাছে ছাগলের দাম আছে, কিন্তু মানুষের দাম নেই। তিনটি ছাগল ফেরত দেওয়া শতাব্দির শ্রেষ্ঠ তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আজকে তামাশা করা হচ্ছে। ওইদিকে টেকনাফ সীমান্তে মুর্হুমুর্হু গোলাগুলি চলছে। সীমান্তে বাংলাদেশের কৃষকরা ভয়ে কাজ করতে পারছে না। কৃষকরা অনাহারে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে আর আমাদের সরকার নীরব। তারা হাত গুটিয়ে বসে আছে। একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করার সাহস তাদের নেই। এ পরিস্থিতি চলতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, কাজী রফিকুল ইসলাম রফিক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম মাসুম শান্ত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, মহিলা দলের পান্না ইয়াসমিন, বিএনপিনেতা মো. আশফাকুল ইসলাম সরকার (মনু), ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, রেহেনা আক্তার শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সাদেক মিয়া, জাকারিয়া হোসেন ইমন ও ঢাবি যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদশ আরও অনেকে।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী’র নেতৃত্বে গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি ছাড়াও সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন দাবি করা হয় লিফলেটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চরম অন্ধকারে এখন বাংলাদেশ: রিজভী

আপডেট সময় : ১০:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চরম অন্ধকারে এখন বাংলাদেশ। ভয়াবহ এক নৈরাজ্য চলছে দেশে, তামাশা চলছে দেশের নাগরিকদের সঙ্গে।

আজ বুধবার (১৪ই ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদসহ সরকার পতনের দাবিতে আজও সারাদেশে মহানগরে গণসংযোগ ও ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ শিরোনামে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।

রিজভী বলেন, সরকারের লুটপাটের রাজনীতির কারণে সারাদেশে এখন সামাজিক নৈরাজ্য চরম আকার ধারণ করেছে। সেই সাথে ছাত্রলীগ শুধু বিএনপির উপর আক্রমণ করছেনা লুটের টাকা ভাগাভাগি করতে নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে দেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসময় রিজভী আরও বলেন, বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো যে আন্দোলন করছে যে লড়াই করছে সেটি নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, সেটি হলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই, জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়ার লড়াই। এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।

রিজভী আরও বলেন, ‘আপনারা দেখছেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব দুর্বল করা হয়েছে। তামাশা করা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। আর গতকাল বাংলাদেশের তিনটি ছাগল নাকি তাদের সীমানার ভেতরে গেছে, সে তিনটি ছাগল ধরে পতাকা বৈঠক করে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএসএফের কাছে ছাগলের দাম আছে, কিন্তু মানুষের দাম নেই। তিনটি ছাগল ফেরত দেওয়া শতাব্দির শ্রেষ্ঠ তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আজকে তামাশা করা হচ্ছে। ওইদিকে টেকনাফ সীমান্তে মুর্হুমুর্হু গোলাগুলি চলছে। সীমান্তে বাংলাদেশের কৃষকরা ভয়ে কাজ করতে পারছে না। কৃষকরা অনাহারে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে আর আমাদের সরকার নীরব। তারা হাত গুটিয়ে বসে আছে। একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করার সাহস তাদের নেই। এ পরিস্থিতি চলতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, কাজী রফিকুল ইসলাম রফিক, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম মাসুম শান্ত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, মহিলা দলের পান্না ইয়াসমিন, বিএনপিনেতা মো. আশফাকুল ইসলাম সরকার (মনু), ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, রেহেনা আক্তার শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক জিয়ন, সাদেক মিয়া, জাকারিয়া হোসেন ইমন ও ঢাবি যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদশ আরও অনেকে।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী’র নেতৃত্বে গুলশান এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি ছাড়াও সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন দাবি করা হয় লিফলেটে।