গণমাধ্যম কর্মীদের চাকরির নিরাপত্তা বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নির্দেশনা দিবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার কখনও গণমাধ্যম ও মুক্তমতের বিপক্ষে নয়। অপতথ্য মোকাবিলায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত যেন না হয়, সেদিকে সরকার যত্নশীল। গণমাধ্যম সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনে, তাদেরও আইনের মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। ভুয়া তথ্য প্রচারের বিষয়েও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, কর্মীদেরকে নোটিশ না দিয়ে কিংবা হঠাৎ করে চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। একইভাবে গণমাধ্যম কর্মীরাও প্রতিষ্ঠানকে সময় না দিয়ে, যে কোনো মুহূর্তে চাকরি ছেড়ে দিতে পারবেন না।’ এমন করলে মালিকপক্ষ এবং কর্মরত সাংবাদিক উভয়েই অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন বলে জানান তিনি। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কার্যকর আইন করা হবে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ, কর্মরত সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইনটি যথাযথভাবে কাজে লাগানো হবে। ক্লিনফিড ছাড়া অনেকে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কেউ যেকোন কনটেন্ট বানাতে পারেন না। দেশের প্রচলিত আইন তা সমর্থন করে না।’
ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ ও বিভিন্ন তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এসব বিষয় জবাবদিহিতায় আনতে নীতিমালা গঠনের দাবি জানান সাংবাদিকরা, প্রতিমন্ত্রীও এ দাবির সঙ্গে একমত হন।
তিনি বলেন, ‘অপতথ্য রোধ করতে গিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে, সেদিকে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, গণমাধ্যমকর্মী আইনটি সংসদীয় কমিটিতে আছে। সবার মতামত নিয়ে আইনটি দ্রুত পাসের উদ্যোগ নেওয়া হবে।