ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জ্বালানি নিরাপত্তা: সরকারকে যে পরামর্শ সিপিডির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। সকালে রাজধানীর ব্র্যাক ইনে জ্বালানি বিষয়ক এক আলোচনায় এসব পরামর্শ তুলে ধরা হয়।

সিডিপি বলছে, এলএনজি ও কয়লা আমদানি নির্ভরতার পাশাপাশি সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো জ্বালানি খাতকে আরও পিছিয়ে দেবে। জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পাশাপাশি গ্যাস অনুসন্ধানের পরামর্শও দিয়েছে বিশ্লেষকরা।

দেশে জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি রয়েছে ডলার সংকটও। জ্বালানি নিরাপত্তায় এলএনজি ও কয়লা আমদানি করছে সরকার। পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের তথ্যমতে, ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল এই আট বছরে এলএনজি আমদানিতে প্রয়োজন হবে ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল এই সাত বছরে কয়লা আমদানিতে প্রয়োজন হবে ২৩ বিলিয়ন ডলার।

আলোচনায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানায়, জ্বালানি নিরাপত্তায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে জোর, শ্রেডা ও বিইআরসিকে আরো শক্তিশালী করাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেয় সংস্থাটি।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাকানিজমে যেরকম আইপি, এমপি রয়েছে সেটা কতটা সম্ভব বা ম্যানুফেস্টোতে যা বলা হয়েছে সেটা কতটা সম্ভব এই জায়গাগুলো অ্যাড্রেস করা। আমাদের কাছে ভয় হচ্ছে যে এনার্জি ট্রানজিশনের জায়গায় না কোল ট্রানজিশন হয়ে যায় দেশে। অর্থাৎ জ্বালানি রুপান্তর না হয়ে আবার কয়লা রুপান্তর হয়ে যায়, আমরা এ আশঙ্কা করছি।’

জ্বালানি বিশ্লেষক ম তামিম বলেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তায় সোলার প্যানেল ব্যবহারে জোর দিতে হবে। জ্বালানির দাম নির্ধারণে ভোক্তাদের কথা মাথায় রাখতে হবে।’

জ্বালানির মূল্য পরিশোধ স্থানীয় মুদ্রায় করা, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করা, সৌরবিদ্যুৎ সামগ্রীতে শুল্ক কমানোর পরামর্শ দেয় সিপিডি। এসময় বক্তারা বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিতে গ্যাস উৎপাদন ও উত্তোলন বাড়ানোর পাশাপাশি, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও জোর দিচ্ছে সরকার।

জ্বালানি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য তানভির শাকিল জয় বলেন, ‘বিদ্যুৎ আমদানি রপ্তানির বিষয়টি যেখানে ভারতের সাথে ট্রান্সমিশনের বিষয়ে আমাদের কিছু মতপার্থক্য আছে। জিনিসটা সমাধানের জন্য আমরা অনেকদুর এগিয়ে গিয়েছি, হয়ত কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।’

জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারে এ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

জ্বালানি নিরাপত্তা: সরকারকে যে পরামর্শ সিপিডির

আপডেট সময় : ০৫:২১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। সকালে রাজধানীর ব্র্যাক ইনে জ্বালানি বিষয়ক এক আলোচনায় এসব পরামর্শ তুলে ধরা হয়।

সিডিপি বলছে, এলএনজি ও কয়লা আমদানি নির্ভরতার পাশাপাশি সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো জ্বালানি খাতকে আরও পিছিয়ে দেবে। জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পাশাপাশি গ্যাস অনুসন্ধানের পরামর্শও দিয়েছে বিশ্লেষকরা।

দেশে জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি রয়েছে ডলার সংকটও। জ্বালানি নিরাপত্তায় এলএনজি ও কয়লা আমদানি করছে সরকার। পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের তথ্যমতে, ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল এই আট বছরে এলএনজি আমদানিতে প্রয়োজন হবে ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ থেকে ২০৩০ সাল এই সাত বছরে কয়লা আমদানিতে প্রয়োজন হবে ২৩ বিলিয়ন ডলার।

আলোচনায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানায়, জ্বালানি নিরাপত্তায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। কুইক রেন্টাল ও অদক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে জোর, শ্রেডা ও বিইআরসিকে আরো শক্তিশালী করাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেয় সংস্থাটি।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এ ধরনের ম্যাকানিজমে যেরকম আইপি, এমপি রয়েছে সেটা কতটা সম্ভব বা ম্যানুফেস্টোতে যা বলা হয়েছে সেটা কতটা সম্ভব এই জায়গাগুলো অ্যাড্রেস করা। আমাদের কাছে ভয় হচ্ছে যে এনার্জি ট্রানজিশনের জায়গায় না কোল ট্রানজিশন হয়ে যায় দেশে। অর্থাৎ জ্বালানি রুপান্তর না হয়ে আবার কয়লা রুপান্তর হয়ে যায়, আমরা এ আশঙ্কা করছি।’

জ্বালানি বিশ্লেষক ম তামিম বলেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তায় সোলার প্যানেল ব্যবহারে জোর দিতে হবে। জ্বালানির দাম নির্ধারণে ভোক্তাদের কথা মাথায় রাখতে হবে।’

জ্বালানির মূল্য পরিশোধ স্থানীয় মুদ্রায় করা, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করা, সৌরবিদ্যুৎ সামগ্রীতে শুল্ক কমানোর পরামর্শ দেয় সিপিডি। এসময় বক্তারা বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিতে গ্যাস উৎপাদন ও উত্তোলন বাড়ানোর পাশাপাশি, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও জোর দিচ্ছে সরকার।

জ্বালানি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য তানভির শাকিল জয় বলেন, ‘বিদ্যুৎ আমদানি রপ্তানির বিষয়টি যেখানে ভারতের সাথে ট্রান্সমিশনের বিষয়ে আমাদের কিছু মতপার্থক্য আছে। জিনিসটা সমাধানের জন্য আমরা অনেকদুর এগিয়ে গিয়েছি, হয়ত কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।’

জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারে এ খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।