ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ড. ইউনূসের বিচারের গতি অস্বাভাবিক: যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শ্রম আইনের মামলায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অস্বাভাবিক গতিতে বিচার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘সোমবারের মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, অজ্ঞাত ২০ জনের একটি গ্রুপ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস দখল করতে যায়। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী একপেশে জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, মিডিয়া, দুর্নীতি বিরোধিতাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এখন গ্রামীণের মতো প্রতিষ্ঠানে তাদের চোখ পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?’

এর জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলার প্রেক্ষিতে আমি বলবো যে- আমরা দেখতে পেয়েছি তাঁর বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলার বিচার করা হয়েছে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে। আরও মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি বিরোধী কমিশন। এসব ঘটনায় সারা বিশ্ব থেকে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অভিন্ন উদ্বেগ জানাচ্ছি যে, এসব মামলায় ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে।’ এতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

মার্কিন মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে, শ্রম আইন এবং দুর্নীতি বিরোধী আইনের অপব্যবহারের ফলে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং ভবিষ্যত সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ রোধ করতে পারে। যেহেতু আপিল প্রক্রিয়া চলমান তাই বাংলাদেশ সরকারকে আমরা ড. ইউনূসের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. ইউনূসের বিচারের গতি অস্বাভাবিক: যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১০:৪৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শ্রম আইনের মামলায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অস্বাভাবিক গতিতে বিচার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান, ‘সোমবারের মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, অজ্ঞাত ২০ জনের একটি গ্রুপ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অফিস দখল করতে যায়। আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী একপেশে জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, মিডিয়া, দুর্নীতি বিরোধিতাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এখন গ্রামীণের মতো প্রতিষ্ঠানে তাদের চোখ পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?’

এর জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলার প্রেক্ষিতে আমি বলবো যে- আমরা দেখতে পেয়েছি তাঁর বিরুদ্ধে শ্রম আইনের মামলার বিচার করা হয়েছে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে। আরও মামলার চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি বিরোধী কমিশন। এসব ঘটনায় সারা বিশ্ব থেকে ব্যাপক নিন্দা জানানো হয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে অভিন্ন উদ্বেগ জানাচ্ছি যে, এসব মামলায় ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হতে পারে।’ এতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

মার্কিন মুখপাত্র আরও বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন যে, শ্রম আইন এবং দুর্নীতি বিরোধী আইনের অপব্যবহারের ফলে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং ভবিষ্যত সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ রোধ করতে পারে। যেহেতু আপিল প্রক্রিয়া চলমান তাই বাংলাদেশ সরকারকে আমরা ড. ইউনূসের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করি।’