বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, দেশের মানুষ না খেয়ে আছে। অথচ সরকারের সেদিকে কর্ণপাত নেই। তারা ক্ষমতার মসনদ নিয়ে ব্যস্ত।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে সরকারের পদত্যাগ, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগপূর্ব বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, জনগণের ভোট নয়, গুম-খুন করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কারাগারে রেখে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করেছে ক্ষমতাসীনরা। এ নির্বাচন দেশের মানুষ মানে না।
মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে হুঁশিয়ারি দিয়ে এ আন্দোলনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানান সেলিমা রহমান।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘এ দেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন, যে নির্বাচনে সরকার প্রশাসনকে ম্যানুপুলেট করেছে, সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই সরকার ভোটের আগে আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যদের এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জোর করে ভোট করেছে। কারাগারে ১৩ জন নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কারাগারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম, নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।’
সরকার ছাত্রলীগের হাতে অস্ত্র, হেলমেট, লাঠি তুলে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘তারা দেশের শিক্ষাঙ্গনে এখন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ছাত্রলীগ শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এরা একাই রাজত্ব করতে চায়।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘অতি সম্প্রতি ডামি-তুমি-আমি-স্বামী নির্বাচন করেছে সরকার, যে নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি ভোটাররা। জনগণ জানে, এই অবৈধ সরকার তার ক্ষমতা টিকে রাখতে অবৈধভাবে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে যাচ্ছে। গুম, খুন করেছে।’