০২:০০ পূর্বাহ্ন, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার- রিজভী

মহাসচিবসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা কারাগার থেকে মুক্ত হবার পর আন্দোলন আরও গতি পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেই সাথে বেগবান হবে সরকার পতনের এক দফার কর্মসূচিও। আজ বৃহস্পতিবার(১৫ই ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন. ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন নয়, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কাউন্সিল হয়েছে। ফলে গোটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকার বিদেশিদের কাছে মিথ্যাচার করছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে ন্যায়ের বদলে কায়েম করেছে অন্যায়ের রাজত্ব করছে বলে ও জানান তিনি।

রিজভী বলেন, ‘গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র নয়, স্বৈরাচারের নিষ্ঠুর সাজা ভোগ করছে দেশের মানুষ। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকার আবারও পানির দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। জনগণের পকেট কাটার পরিকল্পনা সরকারের। অযৌক্তিকভাবে ওয়াসার পানির দাম বাড়লে জনগনের ওপর চাপ বাড়বে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তৎপরতা শুরু করেছে। অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ক্ষমতার জোরে নানাভাবে বিরোধী দলের উপর হুঙ্কার দিচ্ছে সরকার। নিজেদের মতো করে প্রশাসন সাজিয়েছে তারা। এই প্রশাসনকে ব্যবহার করেই বিরোধীদল দমন করছে ক্ষমতাসীনরা।

তিনি বলেন, সারাদেশে প্রতিনিয়ত নৈরাজ্য চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তৃণমূল থেকে বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করতে এমনটা করছে তারা। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর কারাগারে বিরোধীদলের ১৫ জন নেতাকর্মী মারা গেছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘লুটপাট দখলের টার্গেটে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূল থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সারাদেশে হামলা-নির্যাতন বাড়িয়েছে। সরকার ১৬ বছরে নিজেদের লোকদের দিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দলীয় আচরণ করছে।’

সরকার আবারও ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তোড়জোড় শুরু হয়েছে দ্রুত পানির দাম বৃদ্ধির জন্য। জনগণের পকেট কাটার আরেকটি কৌশল নিয়েছে দখলদার সরকার। ঢাকা ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও অন্যায়ভাবে পানির মূল্যবৃদ্ধির আয়োজন চলছে। দেশের শহরগুলোতে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বড় শহরগুলোতে সুপেয় পানির বড়ই সংকট।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোরও তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী। বলেন, দখলদার সরকারের নীতিই হচ্ছে গরীব মানুষের পকেট কাটা। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের ৪টি জেলায় গ্যাস সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাসের সংকটে সার কারখানা থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। দেশে এক ভয়াবহ আর্থিক নৈরাজ্য বিরাজ করছে।

অন্যায়ের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার- রিজভী

আপডেট : ১০:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মহাসচিবসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা কারাগার থেকে মুক্ত হবার পর আন্দোলন আরও গতি পাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সেই সাথে বেগবান হবে সরকার পতনের এক দফার কর্মসূচিও। আজ বৃহস্পতিবার(১৫ই ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন. ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন নয়, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কাউন্সিল হয়েছে। ফলে গোটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকার বিদেশিদের কাছে মিথ্যাচার করছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশে ন্যায়ের বদলে কায়েম করেছে অন্যায়ের রাজত্ব করছে বলে ও জানান তিনি।

রিজভী বলেন, ‘গত ১৬ বছরে গণতন্ত্র নয়, স্বৈরাচারের নিষ্ঠুর সাজা ভোগ করছে দেশের মানুষ। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সরকার আবারও পানির দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে। জনগণের পকেট কাটার পরিকল্পনা সরকারের। অযৌক্তিকভাবে ওয়াসার পানির দাম বাড়লে জনগনের ওপর চাপ বাড়বে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তৎপরতা শুরু করেছে। অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ক্ষমতার জোরে নানাভাবে বিরোধী দলের উপর হুঙ্কার দিচ্ছে সরকার। নিজেদের মতো করে প্রশাসন সাজিয়েছে তারা। এই প্রশাসনকে ব্যবহার করেই বিরোধীদল দমন করছে ক্ষমতাসীনরা।

তিনি বলেন, সারাদেশে প্রতিনিয়ত নৈরাজ্য চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তৃণমূল থেকে বিরোধীদল নিশ্চিহ্ন করতে এমনটা করছে তারা। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর কারাগারে বিরোধীদলের ১৫ জন নেতাকর্মী মারা গেছে বলেও দাবি করেন রিজভী।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘লুটপাট দখলের টার্গেটে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূল থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সারাদেশে হামলা-নির্যাতন বাড়িয়েছে। সরকার ১৬ বছরে নিজেদের লোকদের দিয়ে প্রশাসন সাজিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দলীয় আচরণ করছে।’

সরকার আবারও ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তোড়জোড় শুরু হয়েছে দ্রুত পানির দাম বৃদ্ধির জন্য। জনগণের পকেট কাটার আরেকটি কৌশল নিয়েছে দখলদার সরকার। ঢাকা ওয়াসা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরেও অন্যায়ভাবে পানির মূল্যবৃদ্ধির আয়োজন চলছে। দেশের শহরগুলোতে প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বড় শহরগুলোতে সুপেয় পানির বড়ই সংকট।

গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোরও তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী। বলেন, দখলদার সরকারের নীতিই হচ্ছে গরীব মানুষের পকেট কাটা। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের ৪টি জেলায় গ্যাস সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাসের সংকটে সার কারখানা থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। দেশে এক ভয়াবহ আর্থিক নৈরাজ্য বিরাজ করছে।