ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের কাছাকাছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস শেষে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে ঠেকেছে। যদিও আগের মাস ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা কোনভাবেই পূরণ হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই)-এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএস জানায়, গত অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর পর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তা কমেছিল। তবে জানুয়ারিতে আবার বেড়ে গেলো। শহর ও গ্রাম-উভয় ক্ষেত্রেই যা বৃদ্ধি পেলো।গত জানুয়ারিতে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। শহরে তা ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির বেশি ছিল।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপায়। জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বেড়েছে। আলোচ্য মাসে পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সেই লক্ষ্যে গত ১৭ জানুয়ারি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবু মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগামী হলো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। অর্থনীতির জন্য এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাব আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের কাছাকাছি

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস শেষে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে ঠেকেছে। যদিও আগের মাস ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা কোনভাবেই পূরণ হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই)-এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএস জানায়, গত অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর পর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তা কমেছিল। তবে জানুয়ারিতে আবার বেড়ে গেলো। শহর ও গ্রাম-উভয় ক্ষেত্রেই যা বৃদ্ধি পেলো।গত জানুয়ারিতে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। শহরে তা ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির বেশি ছিল।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপায়। জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বেড়েছে। আলোচ্য মাসে পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সেই লক্ষ্যে গত ১৭ জানুয়ারি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবু মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগামী হলো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। অর্থনীতির জন্য এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাব আছে।